মেট্রোরেলের ভাড়া ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি জাতীয় কমিটির
ঢাকা মহানগরীতে চালু হতে যাওয়া মেট্রোরেলের সরকার নির্ধারিত ভাড়া ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজি মো. শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এই দাবি জানান।
প্রতি কিলোমিটারে পাঁচ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২০ টাকা ভাড়া নির্ধারণের সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে নাগরিক সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, বেসরকারি বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া যেখানে ১০ টাকা, সেখানে রেলের মতো রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার দ্বিগুণ ভাড়া সম্পূর্ণ অন্যায্য, অনাকাঙ্খিত ও অগ্রহণযোগ্য। এতে যেমন একদিকে সাধারণ জনগণের যাতায়াত ব্যয় বেড়ে যাবে, তেমন অনদিকে বাস-মিনিবাসসহ বেসরকারি পরিবহন মালিকেরা বেশি লাভবান হবেন।
বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন ব্যয় অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির ফলে জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় ৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গেছে। স্বল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় বসবাসকারীদের সমস্যা আরো বেশি। এমন অবস্থায় মেট্রোরেলের অস্বাভাবিক ভাড়া নির্ধারণ করে আগাম ঘোষণা দেয়ায় রাজধানীবাসী জরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছে।
জাতীয় কমিটি রাষ্ট্রীয় এই পরিবহনের সর্বনিম্ন ভাড়া ৫০ শতাংশ কমিয়ে ১০ টাকা এবং প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া পাঁচ টাকা থেকে কমিয়ে সর্বোচ্চ তিন টাকা নির্ধারণের জোর দাবি জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ডিসেম্বরে চালু হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল। প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এই রেল চলবে। এ রুটের ভাড়া ধরা হয়েছে জনপ্রতি ৬০ টাকা। পরবর্তী সময়ে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত চলবে এই পরিবহন। সে ক্ষেত্রে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত জনপ্রতি ১০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।