গদখালী ফুল রাজ্যে শুধুই কামিনী পাতা চাষাবাদ
মালিক উজ জামান, যশোর : দেশে-বিদেশে চাষিরা শুধু ফুলের জন্যই চাষাবাদ করে থাকেন নানা ধরনের ফুলের বাগান। কিন্তু এবার যশোরের ঝিকরগাছার গদখালী ফুল রাজ্যে শুধু পাতার জন্য চাষাবাদ হচ্ছে ফুল গাছ। এই ফুল গাছের নাম কামিনী ফুল গাছ। ফুলের জন্য চাষাবাদ করা হচ্ছে না। গাছের পাতা ও ডালের জন্য বাণিজ্যিকভাবে চাষ আবাদ করছে এখানকার কৃষকরা।
কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, অনেক ক্ষেত্রে ফুলের চেয়ে বেশি লাভ পাওয়া যায় কামিনী পাতাসহ ডাল বিক্রি করে। এ কারণে দেশের নানা স্থানে কৃষকরা এটি চাষাবাদ করছে। তারা সফলতা পাচ্ছেন এটি চাষ করে। যশোরের গদখালী এলাকা দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফুলের জন্য বিখ্যাত এবং দেশের অন্যতম বড় ফুলের বাজার। গদখালী, পানিসারা, কুলিয়া, শিওরদাহ গ্রাম ও আশপাশের হাজার হাজার একর জমিতে বছরজুড়ে উৎপাদন হয় দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফুল, যার বার্ষিক বাজার মূল্য সেখানকার ব্যবসায়িদের হিসেবে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। এছাড়া এই গ্রামের ফুল সারাদেশ তো বটেই, রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও।
সভাপতি আব্দুর রহিম জানান যে, যেখানেই ফুলের বাজার বা দোকান দেখা যাবে সেখানেই কামিনীর ডালের দরকার হবে। এটি ছাড়া ফুল ব্যবসা করা যাবে না। ‘ফুলের ডেকোরেশন এখন নানা অনুষ্ঠান ছাড়াও অফিস সাজসজ্জায় ব্যবহার হয়। ফুলেল সাজসজ্জার সব কিছুতে দরকার হয় কামিনী পাতাসহ ডাল। বাসা বা ঘর সাজাতে ফুলের চেয়ে বেশি প্রয়োজন কামিনী ডাল। এটি ছাড়া ফুলের সৌন্দর্য্য যেন ঠিক ফোটে না। এ কারণে দিন দিন যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ফুলচাষীরা কামিনী ফুলের চাষে বেশি আগ্রহী। দেখা যায় ফুল ফুটেছে একদিনের ভিতর সোনা বিক্রি করতে পারলে নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু কামিনী পাতা ও ডাল বিক্রির ফলে কৃষকদের সেই সংখ্যা নেই বললেই চলে। প্রয়োজন, লাভ, দীর্ঘমেয়াদ এসব কারণে এলাকার কৃষকরা এখন কামিনী ফুল গাছ চাষাবাদে বেশি আগ্রহী।