যশোর পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারন
মালিক উজ জামান, যশোর : যশোর পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণের পথে দীর্ঘদিনের জটিলতা দূর হতে চলেছে। যশোর জেলা প্রশাসকের সাক্ষরিত একটি প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। নিকার কমিটির অনুমোদন হলেই পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারিত করা হবে। অনুমোদন খুব শিগগির হবে বলে আশা করছেন পৌরসভা কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ৬টি ইউনিয়নের কিছু সীমানা অন্তর্ভুক্ত করে যশোর পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণের লক্ষে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ হয়। গেজেটে উপশহর ইউনিয়নের বিরামপুর মৌজার ১১৩টি দাগ, শেখহাটি মৌজার ১৮৫টি দাগ, কিসমত নওয়াপাড়ার ৬৯৭টি দাগ, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নওদাগ্রামের ১ থেকে ৩৫০ দাগ, আরবপুর ইউনিয়নের খোলাডাঙ্গার ২৩৫টি দাগ, ফতেপুর ইউনিয়নের ঝুমঝুমপুর মৌজার ৩১০টি দাগ, বালিয়াডাঙ্গা মৌজার ৪৪০টি দাগ, রামনগর ইউনিয়নের রামনগর মৌজার ৪৭৮টি দাগ, মুড়লী মৌজার ১৬২টি দাগ, মোবারককাঠি মৌজার ৩৫৫টি দাগ ও চাঁচড়া ইউনিয়নের চাঁচড়া মৌজার ৪১৩টি দাগ রয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে যশোর পৌরসভায় চিঠি দেয়া হয় ‘কেন রিরামপুর এলাকা যশোর সভার সীমানা সম্প্রসারণের সাথে অন্তর্ভুক্ত হবে না?’ এ কারণে পৌরসভার সীমানা সম্প্রাসরণের কাজে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তারপর থেকে নিকার কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল যশোর পৌরসভা।
গত ১৭ জানুয়ারি যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যার স্মারক নম্বর ০৫.৪৪.৪১০০.০১৩.১০.০০১.২২,৩৩(৬)। প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত এলাকার দাগ, এলাকার অর্থনৈতিক গুরুত্ব, অবকাঠামোগত সুবিধার বিবরণ, পৌরসভার বিদ্যমান, এলাকার, সম্প্রসারণে প্রস্তাবিত জমির ফসলের বিবরণ উল্লেখ করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণের যে জটিলতা ছিল সেটা নেই। যশোরের জেলা প্রশাসক একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। এ প্রতিবেদনটি গৃহীত হলে সীমানা সম্প্রসারণে কোনো বাধা থাকবে না।