গাজীপুর নগরীর ৪০ ভাগ টয়লেটে নেই সেপটিক ট্যাংক-সোকওয়েল
বাংলাদেশ জাতীয় নির্মাণ বিধিমালা ২০২০ অনুসারে প্রতিটি বাড়িতে অবশ্যই পরিপূর্ণ টয়লেট ব্যবস্থা থাকতে হবে যেখানে টয়লেটের সঙ্গে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল থাকতে হবে। ২০২২ সালের মধ্যে গাজীপুর নগরীর সকল বাড়িতে পরিপূর্ণ টয়লেট স্থাপন আবশ্যক। টয়লেটে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল উভয়ই থাকলে সেটাকে পরিপূর্ণ টয়লেট বলা যায়। গাজীপুর নগরীর ৪০ ভাগ টয়লেটে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েলের কোনোটিই নেই। প্রায় ৫০ ভাগ টয়লেটে সেপটিক ট্যাংক থাকলেও সোকওয়েল নেই। এসব অপরিপূর্ণ বা আংশিক পরিপূর্ণ টয়লেট থেকে মল এবং বর্জ্য পানি সরাসরি ড্রেনে বা খোলা জায়গায় যাচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে ‘পরিপূর্ণ টয়লেট তবেই পুরিপূর্ণ বাড়ি’ শীর্ষক প্রচারাভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) এ এস এম সফিউল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ। বক্তব্য রাখেন গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, ডুয়েটের অধ্যাপক ড. শওকত ওসমান সরকার, প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক, সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো: আকবর হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: মজিবুর রহমান কাজল, এমএমবি প্রতিনিধি রুহুল আমীন মুন্সি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নগরীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তা, নগরের বাড়ির মালিক ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, বাসাবাড়িতে নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে আমাদের প্রয়োজন নাগরিকদের সহযোগিতা। বাড়িতে যদি টয়লেটের সঙ্গে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল না থাকে তবে গৃহীত পদক্ষেপগুলো সফল হবে না। আমরা নগরব্যাপী পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নিশ্চিতে এই ক্যাম্পেইন শুরু করেছি।
তিনি বলেন, সকল নাগরিকদের সুস্থতা ও নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে আমরা নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-পয়ঃবর্জ্য শোধনাগার স্থাপন, টঙ্গিতে সুয়ারেজ শোধনাগার নির্মাণের পরিকল্পনা, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেপটিক ট্যাংক থেকে মল অপসারণ এবং পরিবেশের ক্ষতি না করে বিশেষভাবে তৈরি গাড়ি-ভেকুট্যাগের মাধ্যমে নিরাপদে পরিবহন করে শোধনাগারে নিয়ে পরিশোধন। প্রাথমিকভাবে নগরীর এক ও চার নম্বর অঞ্চলের ১২টি ওয়ার্ডে এ কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে।