রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীন ৭৫০ শয্যার বিশিষ্ট সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল রোগীদের বিদেশ নির্ভরতা কমাবে। এই হাসপাতাল চালু হলে রোগীদের ভোগান্তি যেমন কমবে, একই সাথে বৈদেশিক মুদ্রারও সাশ্রয় হবে।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করতে নির্মাণ করা হয়েছে এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। এই হাসপাতালে স্বল্পব্যয়ে দেশেই উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে বলে আমি আশা করি। এতে বিদেশে না যেয়ে দেশেই সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হবে। দেশের রোগীদের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা কমবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার পথিকৃৎ। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের পাশাপাশি জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় কাজে লাগাতে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে গড়ে তোলা হয়েছে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে।
আবদুল হামিদ বলেন, দেশে উন্নততর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসকদের জন্য অত্যাধুনিক পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা, বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ, জিন থেরাপি, রোবোটিক সার্জারি এবং জনগণের জন্য উচ্চমানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে লিভার, গলব্লাডার ও প্যানক্রিস, অরগান ট্রান্সপ্লান্ট, ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনিরোগ, নিউরোসার্জারিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের বিশেষায়িত চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক।
‘জনগণের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে দেশে চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্রে আরও সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক।’
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমি বিশ্বাস করি, জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালুর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। আমি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সার্বিক সফলতা কামনা করছি।