আঞ্চলিকশীর্ষ নিউজ

ঘুনীর মনিরের হাঁস মুরগী ফার্মে নুরো ও সাহাবুদ্দীন হত্যা কান্ড চাপা পড়েছে


মালিক উজ জামান, যশোর : ঘুনীর জীবন্ত ত্রাস মানুষরুপী শয়তান মনিরের আরো অপকর্ম একের পর এক বের হচ্ছে। এর আগে সে নিজের অপকর্মের স্বাক্ষী হওয়ায় ফার্মের লেবার নুরো কে হত্যা করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে নুরোর মৃত্যু হয়। এর কয়েক দিন আগে নুরোর পুত্র সাহাবুদ্দীন কে খুন করে তার লাশ ঘুনী বাজারের পাশে একটি মিশনের গায়ে একটি কাঁঠাল গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এই দুটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে গ্রামবাসীর।
জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলার ঘুনী গ্রামের সুলতান ব্যাপারীর পুত্র নুরো ২০২০ সালের শীতের মধ্যে মারা যায়। তবে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। নুরোর স্ত্রী এক চিলতে জমিতে একটি টিনের ঘরে বসবাস করেন। তার দেখার কেউ নেই। অতি মানবেতর জীবন যাপন করছেন এই বিধাব নারী। মনিরুল ইসলাম মনিরের বাসা সংলগ্ন ফার্মের মধ্যে সে পড়ে ছিল। তার পোষ্ট মর্টেম করা হয়নি। গ্রামবাসির ধারনা পোষ্টমর্টেম করলে মনিরের কুর্কীর্তির আরো একটি দিক উন্মোচন হবে। নুরো অতি দরিদ্র বিধায় তার পিতা মাতা বা স্ত্রী কে পোষ্টমর্টেম করতে দেয়নি মনির। ধারনা করা হয়, মনিরের অবৈধ মাদক ও নারী পাচার অপকর্মের স্বাক্ষী হয়ে যাওয়ায় নুরোর কাল হয়ে যায়। একই সাথে নিজেকে নিরাপরাধ দেখাতে জিনু কেও ফার্ম থেকে বের করে দেয় মনির। স্থানীয়রা জানায়, মৃত আমিন মিয়ার পুত্র ঘুনী শাখারীপাড়ার
মনির দিনে ও রাতে দুই রুপ। দিনে সে একজন ফার্ম মালিক। তার একটি ছোট্ট না থাকার মত একটি গরু ফার্ম রয়েছে। এটি লীজের জমি। ৩/৪ শতকের উপর বাড়ি। যে টাকায় বাড়ি করা হয়েছে তার সিংহভাগ আসমার কাছ থেকে প্রতারনায় বাগিয়ে নেওয়া। আর লীজের জমিতে রয়েছে ফার্ম মুরগীর সেখানে মুরগী নেই। তবে ২/৫টি বেলজিয়াম হাঁস আছে। প্রতি রাতে মনিরের ফার্মে মাদকদ্রব্য চালান লেনদেন বা বেচাকেনা হয়। এছাড়া রয়েছে তার বিশাল নারী পাচারকারী নেটওয়ার্ক। কক্সবাজার, কুয়াকাটা ও ভারতে মনির নারী পাচার করে বলে জোর অভিযোগ গ্রামবাসির। এসব নারীরা পাচার হয়ে কার্যত দেহ ব্যবসায়ি হতে বাধ্য হয়। প্রশাসন তদন্ত করলেই বিষয়টি উন্মোচন হবে। তবে গ্রামবাসী মনিরের ভয়ে কেউ মুখ ফুঁটে কথা বলতে পারেনা। এদিকে সংবাদপত্রে মনিরের অপকর্ম প্রকাশ হওয়ায় সে গ্রামের ২/৫ জন কে টার্গেট করে তাদের শায়েস্তা করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘ দুই বছর স্ত্রী পরিচয়ে বাড়ি আটকে নিয়মিত মনিরের শরীর ভোগের শিকার আসমা। তালিকায় রয়েছে জিয়া, সাইদসহ আরো কয়েক গ্রামবাসী। মনিরের সহযোগী রাতে অনেক। দিনে কম। এ তালিকায় রয়েছে ভন্ড পাইলস ডাক্তার রফিকুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন। মনির এসব প্রতিপক্ষ কে খুন ও শায়েস্তা করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তবে গ্রামবাসী চাচ্ছে নুরো ও নুরোর পুত্র সাহাবুদ্দীনের হত্যাকান্ড উন্মোচন হোক। কেননা পোষ্টমর্টেম ছাড়াই তড়িঘড়ি করে লাশ দুটি তাড়াতাড়ি কবর দিতে মনিরের ব্যস্ততা যথেষ্ট সন্দেহের কারন। কেননা সাহাবুদ্দীনের লাশ পোষ্টমর্টেম করতে উদ্যোগ গ্রহনকারী পুলিশকে মনির বলে সে পাগল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button