খেদাপাড়া কদমবাড়ীয়ার সালমা যৌতুকের বলি
মালিক উজ জামান, যশোর : এবার যৌতুকের বলি গৃহবধূ সালমা (২৫)। মনিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া কদমবাড়ীয়ার আবুল হাশেম মোড়লের পুত্রবধূ সালমা পরিকল্পিত হত্যার শিকার হয়েছে। এই ঘাতক তার স্বামী হুমায়ুন কবীর সুজন। নিহত গৃহবধূ যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া রুপদিয়ার মৃত দাউদ আলী মোড়লের কন্যা।
শনিবার ভোর আনুমানিক আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে হুমায়ুন কবীর সুজন তাকে প্রচন্ড আঘাত করলে তার নির্মম মৃত্যু হয়। পাশ্ববর্তী বাড়ির লোকজন জানায় শাশুড়ী রাজিয়ার মদদেই সুজন তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। জানা গেছে, রুপদিয়ার লোকজন ভোরে সালমার লাশ উদ্দার করে। এসময় তার স্বামী ও শাশুড়ী পলাতক ছিল। সালমার উপর প্রায়ই যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন হোত। এর আগেও তার মা ও গ্রামের লোকজন প্রায়ই দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে বাধ্য হয়েছে। অথচ সালমার পরেও সুজন আরো তিনটি বিয়ে করেছে। এর মধ্যে ২টি গ্রামের লোকজনের চাপে তালাক দিতে বাধ্য হয়। তবে তার তৃতীয় স্ত্রী মনিরামপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স। তবে তার নাম জানা যায়নি।
রুপদিয়াবাসী জানান, পিতা নেই সালমার। একারনে দরিদ্র মায়ের কন্যা সে। তবু সংসারের সুখের কথা ভেবে তার মা প্রায় দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে বাধ্য হয়েছে। এবারো তার উপর যৌতুক দাবি করে তার স্বামী ও শাশুড়ী। তবে এ দিতে রাজি না হওয়ায় তার প্রানটাই বিসর্জন দিতে হোল। নিহতের শরীরে বেশ কটি আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। শনিবার যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পোষ্ট মর্টেমের পর তাকে রুপদিয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এসময় সেখানে এক হ্নদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়।