তৃণমূল চায় নৌকার একক প্রার্থী হোক বড়উঠানের দিদার!
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে, কর্ণফুলীকে বিএনপি-জামায়াত মুক্ত ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দূর্গ তৈরী করতে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার একক প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব মুহাম্মদ দিদারুল আলমের কোন বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে তৃণমূল। যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার আমলে উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে জনগণের দুয়ারে-দুয়ারে গিয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের জোয়ার জনগণের মাঝে তুলে ধরতে গিয়ে বড়উঠান ইউনিয়নে হ্যাটট্রিক বিজয়ী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
দিদারুল আলম কর্ণফুলীবাসীকে জানান দিয়েছেন, ‘শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা। যে কর্ণফুলীতে আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী পাওয়া যেতো না। সেই উপজেলায় বিএনপি জামায়াতের দুর্গ ভেঙে তিনি প্রয়াত মহান নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নেতৃত্বে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে বড় অবদান রেখেছিলেন। যা উপজেলার সকলে জানে।’
‘সবই সম্ভব হয়েছে তার সততা ও যোগ্যতা দিয়ে। সাধারণ মানুষের কাতারে গিয়ে জামায়াত-বিএনপির ঘাঁটি ভেঙ্গে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি তৈরীর কারণে। সাবেক এই তুখোড় সাহসী ছাত্রলীগ নেতা, রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী মুজিব সৈনিক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুজিবকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও আদর্শের আদর্শিত ব্যক্তিত্ব, বর্তমানে যিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি, বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।’
তিনি গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের অভিভাবক। এছাড়াও পরিপূর্ণ সংগঠক ব্যক্তিত্ব। শ্রমজীবি খেটে খাওয়া সাধারণ নিরীহ মানুষের সুখ-দুঃখের সর্বসময়ের সাথী। জনস্বার্থে সকল প্রকার উন্নয়ন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তিনি সকলের মাঝে হয়ে উঠেছেন এক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান, একাধারে নেতা ও জনসেবক । যা এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত। উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম পুরুষ মরহুম জননেতা আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ভাই এর হাতেগড়া কর্মী তিনি। তার সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় নেতা, মাননীয় ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি মহোদয় এর নির্দেশনায় তিনি তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দিদারুল আলম স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, জেলাসহ তৃণমূলের সকল স্তরে তিনি এক সময় ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন পশ্চিম পটিয়া থানা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ন আহবায়ক, ছাত্রলীগ যুবলীগের পদ-পদবী গুলো তিনি পেয়েছিলেন আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ভাই এর সুপারিশক্রমে।
পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ইমেজের মাননীয় ভূমিমন্ত্রী মহোদয় এর আস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের এডহক কমিটির সদস্য ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন তিনি। এমনকি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সাবেক এই ছাত্রনেতা বারবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এক্ষেত্রে তৃণমূল আ’লীগের নেতাকর্মীরা আগামীতে কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দিদারুল আলমের উপর আস্থা রাখার কথা জানান অনেকেই।
নেতৃত্বের দাবিদার অধিকাংশ হাইব্রিড নেতার মূল টার্গেট যেখানে দল কিংবা দলের আদর্শ নয়, প্রভাব-প্রতিপত্তি। দলের মধ্যে এমন অসুস্থ প্রতিযোগিতায় অনেক ক্ষেত্রে ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়ে। বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য নির্ভরযোগ্যতার প্রেক্ষিতে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলার আনাচে কানাচে বড়উঠানের চেয়ারম্যান দিদারুল আলমের নাম আলোচনা করতে দেখা যায়। এছাড়াও আরো কয়েকজন ত্যাগি নেতাদের নাম শোনা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তফসিল ঘোষণা করা হয়।
তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আগামী ৬ অক্টোবর। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাই ১০ অক্টোবর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন ১৭ অক্টোবর এবং ২রা নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।