৩.৫ ওভারে ৫৩: ম্যাচ হারানোর জন্য সাইফউদ্দিন একাই ‘যথেষ্ট’!
পেস বোলিং অলরাউন্ডার হওয়ায় সাইফউদ্দিনকে অনেকেই মনে করতে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য আশীর্বাদ। তাই নানা সময় তাকে দলে না নেওয়ায় বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনাও হয়েছে ঢের।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্রিকেট ফ্যানরা তাকে দলে নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। বিসিবিও কখনো নিরুপায় হয়ে, কখনো আবার জনদাবি মেনে তাকে দলে নিয়েছে। তবে বল কিংবা ব্যাট হাতে আস্থার প্রতিদান দিতে পারছেন না এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও বোলিংয়ে দলকে ডোবানোর মঞ্চ সাজিয়েছেন সাইফউদ্দিন। দলের ১৩তম আর নিজের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে দ্বিতীয় বলটিই ‘নো’ ডেলিভারি দেন তিনি।
ফ্রি হিট পায় পাকিস্তান। সবমিলিয়ে একওভারে তিন চার, নো বল এবং ওয়াইডসহ মোট ১৯ রান দেন সাইফউদ্দিন। নিজের তৃতীয় ওভারেও ১২ রান দিয়েছেন তিনি। এমনকি শেষ ওভারে বল করতে এসেও ৫ বলে ১১ রান দিয়েছন তিনি। সবমিলিয়ে ৩ ওভার ৫ বলে ১৩.৮২ গড়ে ৫৩ রান দিয়েছেন সাইফউদ্দিন।
এছাড়াও সেট ব্যাটার রিজওয়ানের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিয়েও দলের হারে অবদান রেখেছেন সাইফউদ্দিন। রিজওয়ানকে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে ফেরানো গেলে ম্যাচের চিত্রটা উল্টো হওয়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচে সাইফউদ্দিন ছিলেন খরুচে, দিয়েছিলেন ৩৭ রান।
শুধু এবার নয় এশিয়া কাপে সাইফউদ্দিনের ছিল একই হাল। এশিয়া কাপের ম্যাচেও তিনি একই রকম কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ১৮তম ওভারে এসে দিয়েছেন ২২ রান। মোস্তাফিজের ১৭ রানের পর তার ওই ওভারেই মূলত বাংলাদেশের হারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
যদিও আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচ হারার দায় সাইফউদ্দিনের একার নয়। এই ম্যাচে বাংলাদেশের কোন ডিপার্টমেন্টই ভালো করেনি। তবে সাইফউদ্দিনের এই খেই হারানোর রোগ পুরনো। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩ ওভারে ৩৮ রান দিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। সেই ম্যাচেও ১৫তম ওভারে ২২ রান দিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন।
এর আগেও ২০ ওভারের ক্রিকেটে এক ওভারে ৩১ রান দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২০১৭ সালে সাউথ আফ্রিকার ডেভিড মিলার তার প্রথম পাঁচ বলে টানা ছক্কা মেরেছিলেন। শেষ বলে নেন এক রান।
২০২২ সালে এসেও সেই নার্ভ ঠিক রাখতে না পারার রোগে ভুগছেন সাইফউদ্দিন। বড় ম্যাচ, বড় দায়িত্ব এলেই তিনি খেই হারান, তার জন্য দলও এগিয়ে যায় বিপর্যয়ের দিকে। ফেনীর এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার এই বৃত্ত ভাঙবেন কবে?