চীন বলেছে, দেশটির মূল ভূখণ্ডে স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে একত্রিত করার সকল প্রচেষ্টা চালাবে বেইজিং। কিন্তু যদি সে প্রচেষ্টা সফল না হয় তাহলে তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী শক্তির পাশাপাশি তাদের বিদেশি পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজন বলপ্রয়োগ করা হবে।
গতকাল শনিবার চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র সুন ইয়েলি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানকে একত্রিত করতে বলপ্রয়োগ করার অধিকার বেইজিং সংরক্ষণ করে।
চীনের ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র আরো বলেন, তাইওয়ানের কিছু মুষ্টিমেয় মানুষ বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় জড়িত এবং তাদের পাশাপাশি বহির্বিশ্বে তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে শক্তি ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি বেইজিং দিতে পারছে না।
তিনি বলেন, চীন তাইওয়ানের জনগণের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো ব্যবস্থা নেবে না; কারণ, এই দ্বীপকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে মূল ভূখণ্ডে একত্রিত করতে চায় বেইজিং।
এক চীন নীতির আওতায় তাইওয়ানকে নিজের অংশ বলে মনে করে বেইজিং। জাতিসংঘও এ বিষয়টিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মার্কিন সরকারও ১৯৭৯ সালে এক চীন নীতি মেনে নিয়ে তাইওয়ানকে একটি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। সেই থেকে চীনের ঘরোয়া বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের উপর্যুপরি হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও মার্কিন সরকারগুলো নানা আঞ্চলিক জোট গঠনের মাধ্যমে চীনকে কোণঠাসা করার ও তাইওয়ানে হস্তক্ষেপ বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং তাইওয়ানের সঙ্গে স্বাধীন রাষ্ট্রের মত আচরণ করছে। সম্প্রতি ওয়াশিংটন তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলার মূল্যের সমরাস্ত্র বিক্রি করবে বলে জানিয়েছে।
সূত্র : আল-জাজিরা।