হাত ধুয়ে ধরলে লাভ কী?
করোনাকালে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা পেয়েছে ভিন্ন গুরুত্ব। করোনার ভ্যাকসিন থাকলেও সুস্থভাবে বাঁচতে হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্ত থাকার বিকল্প নেই। কারণ, স্বাভাবিক সময়েও হাতে লেগে থাকা জীবাণু চোখ, মুখ কিংবা নাকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে।
তাই, ‘ইউনাইট ফর ইউনিভার্সেল হ্যান্ড হাইজিন’ অর্থাৎ ‘সর্বজনীন হাতের স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় একত্রিত হই’- এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এ বছর পালিত হচ্ছে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস বা গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে।
হাত ধোয়া প্রসঙ্গে মানুষ যাতে সচেতন হয়ে সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকে, সেই উদ্দেশ্যেই এই দিবস আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হয়। ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর, বিশ্ব পানি সপ্তাহে সুইডেন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম এই দিবসটি পালন করে। পরবর্তীতে, জাতিসংঘ এই দিনটিকে হাত ধোয়া দিবস হিসেবে প্রতি বছর পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণা থেকে জানা যায়, সঠিক নিয়মে হাত ধুলে শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধ হয় শতকরা ৪৪ ভাগ। এমনকি, অনেক ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে হাত ধোয়ার অভ্যাস রোগপ্রতিরোধের ক্ষেত্রে একটি ভালো ভ্যাকসিনের চেয়েও বেশি কাজ করে। তাই, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।
সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার প্রচলন থাকলেও এক সাবান অনেকেই ব্যবহার করে বলে করোনার ঝুঁকি এড়াতে অনেকেই বেছে নিয়েছে লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ। তবে, সাধারণ লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহারে অনেকের হাত দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে স্কয়ারের সেপনিল ন্যাচারাল স্যানিটাইজিং হ্যান্ডওয়াশ ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
এর কারণ হিসেবে ফিজিশিয়ানরা জানান, সেপনিল ন্যাচারাল স্যানিটাইজিং হ্যান্ডওয়াশ-এ রয়েছে ন্যাচারাল অ্যান্টিসেপটিক ফর্মুলা, যা হাতকে শুষ্ক হতে দেয় না। এমনকি, হাত রাখে ময়েশ্চারাইজড। তাই, অনেক সচেতন মানুষ হাতকে জীবাণুমুক্ত রাখার পাশাপাশি ময়েশ্চার ধরে রাখতে ন্যাচারাল অ্যান্টিসেপটিক ফর্মুলাসমৃদ্ধ লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করছে।