চরলক্ষ্যায় আলী’কে খালি করে দিবো: চেয়ারম্যান সোলায়মান
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
‘আলীর পক্ষে কারা আছে জানেন, যারা মানুষের সাথে জুলুম করে, যারা মানুষের ভূমি দখল করে, যারা রাস্তায় রাস্তায় গুন্ডা-মাস্তানি করে। আপনারা জনগণ গুন্ডা মাস্তানের পক্ষে নাকি ভালো মানুষের পক্ষে? ফারুক চৌধুরী কে আপনারা না চাইলে বাড়ী চলে যেতে বলব। কারণ ফারুক চৌধুরী কে দাঁড় করিয়েছে মন্ত্রী মহোদয় আর আলীকে দাঁড় করিয়েছে ওই কিশোর গ্যাং লিডার। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে আপনারা নৌকা ও চশমা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।’
শনিবার (২২ অক্টোবর) রাত ৭ টায় উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া এলাকায় নৌকার প্রার্থী ফারুক চৌধুরী’র নির্বাচনী সভায় এসব কথা বলেন-চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সোলায়মান তালুকদার।
জনগণকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের কি অবদান সমাজে? আলীর কি অবদান? জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের কি অবদান? দিদার চেয়ারম্যানের কি অবদান? নুরুল হক চেয়ারম্যানের কি অবদান সমাজে? আজকে মহিউদ্দিন মুরাদ আমির ভাইয়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। খারাপ মানুষেরা মিলে আলীকে চেয়ারম্যানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। চরলক্ষ্যায় আলীকে খালি করে দিবো আমরা। আমি সোলায়মানের সাথে আ’লীগের কারো সাথে কোন বিরোধ নেই। জনগণ সবাই আমাদের শক্তি। এই শক্তি নিয়ে বলতেছি-আলী তোমার কোনো যোগ্যতা নেই। তোমার কি যোগ্যতা আছে? তুমি তিন তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যানে দাঁড়াইছো?
এছাড়াও চার চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্যে করে যুবলীগ সভাপতি তালুকদার বলেন, ‘আপনারা বলতেছেন বরাদ্দ দেয় না ফারুক সাহেব। রাস্তা হয় না। কিন্তু মন্ত্রী মহোদয় তো রাস্তা করে দিচ্ছেন। উন্নয়ন তো হয়েছে। রাস্তা তো হয়েছে। এখন বলেন ফারুক চৌধুরী’র দোষ কি? আগামী ৬ মাসের মধ্যে গোয়ালপাড়া থেকে এয়ারপোর্টে যেতে সময় লাগবে মাত্র ২৫ মিনিট। মন্ত্রী মহোদয় ফারুক চৌধুরী পারবে না বলে ইউনিয়নের সভাপতি সেক্রেটারিকে ডেকে ১০ লক্ষ টাকার বরাদ্দে ৯ ওয়ার্ডে ৯ টি সড়কের নাম দিতে বললেন। চেয়ারম্যানরা বলতেছে বরাদ্দ গুলো তাদের দিয়ে দিতে। যাতে ভাগ ভাটোয়ারা করে খেয়ে ফেলে। মন্ত্রী বললেন, খবরদার এটা হতে পারবে না।’
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইসমাইল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন হায়দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমির আহমদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাছির উদ্দিন, চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিক আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি নুরুচ্চফা, সবুর আহমদ, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন, বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা ।
এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক চৌধুরী পেলেন নৌকা প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী (আনারস)। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমির আহমদ (চশমা), মো. আবদুল হালিম (তালা), মহিউদ্দিন মুরাদ (উড়োজাহাজ)। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোমেনা আক্তার নয়ন পেয়েছেন কলস প্রতীক, বানাজা বেগম (হাঁস), ফারহানা মমতাজ (ফুটবল) এবং রানু আকতার (বৈদ্যুতিক পাখা)।
উল্লেখ্য, আগামী ২ নভেম্বর ইভিএম পদ্ধতিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট ভোটার ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭৯৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৩ হাজার ৫৯৯ জন ও মহিলা ভোটার ৫৪ হাজার ২০০ জন। মোট ৪৫টি কেন্দ্রের ২৫০টির উপরে বুথ কক্ষে ভোটাররা ভোট প্রদান করবেন।