আইটি পার্কে টেকসিটি পরিচালকের পরিদর্শন
মালিক উজ জামান, যশোর : ডরমেটরিতে নারীঘটিত বিষয়সহ নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার পর ২২ অক্টোবর পার্ক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান টেকসিটির পরিচালক পরিদর্শন করে গেলেন। নানা অভিযোগ অসংগতির বিষয় নিয়ে তিনি জেনারেল ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন। এসময় ঘটে যাওয়া কয়েকটি কর্মকান্ডের বিষয় আমলে নিয়ে স্বচ্ছ পার্ক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিয়েও কথা বলেন তিনি। এদিকে সাবেক এক নিরাপত্তা প্রহরী টেকসিটি যশোরের একজন উর্ধŸতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন জেলা প্রশাসক ও দুদকের কাছে।
অব্যাহত নারী কেলেংকারী, ডরমেটরিতে কলগার্ল ব্যবসা, মদ সাপ্লাইসহ নানা কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ পার্ক সংশ্লিষ্টদের তথ্যে ১৯ অক্টোবর ও ২০ অক্টোবর একটি স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয় টেকসিটির সহকারী ম্যানেজার শাহরিয়াজের বিরুদ্ধে। সুত্র জানায়, তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে একটি প্রতিবেদন চুড়ান্ত করা হচ্ছে। আর সংঘটিত ঘটনাগুলোতে হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ ও পার্ক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান টেকসিটি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পার্ক ব্যবস্থাপনা স্টাফদের মধ্যে দ্রুত পরিবর্তন আনছেন। ওই দুটি কমিটর তদন্তের পর ২২ অক্টোবর দিনভর পরিদর্শন কার্যক্রম চালিয়েছেন টেকসিটির পরিচালক আজমল আজিম। পার্ক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান টেকসিটি যশোরের জেনারেল ম্যানেজার মোসলেম উদ্দিন সিকদারসহ অনেকের সাথে পৃথক পৃথকভাবে কথা বলেছেন। এছাড়া সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সাথে পার্ক ব্যবস্থাপনা করার জন্য জেনারেল ম্যানেজারকে নির্দেশনা দেন বলে তথ্য রয়েছে। ঢাকা থেকে দিনের কার্যক্রম জোরালোভাবে তদারকি করা হবে বলেও তিনি জানিয়ে গেছেন বলে ডরমেটরির এক সূত্র জানায়।
গত ২০ অক্টোবর টেকসিটির সাবেক নিরাপত্তা প্রহরী মোল্লা মুজিবর রহমান যশোরের জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর সমন্বিত কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন পার্ক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা যশোরের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাকে ক্লিনার সুপার ভাইজার পদে নিয়োগ দেয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করেছেন। মাসের পর মাস ঘোরানো হয়েছে ওই নিরাপত্তা প্রহরীকে। দুটি এনজিও থেকে ঋণ করে ওই টাকা তিনি তুলে দেন ওই কর্মতকর্তার হাতে। কিন্তু চাকরি না দিলে উল্টো নানা খারাপ আচরণ করা হয়েছে তার সাথে। এঘটনায় তিনি প্রথমে টেকসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কর্মকর্তা তার নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি খেয়ে ফেলেন। চাকুরিচ্যুত হয়ে তার টাকা ফেরত চাইলে তাও দেয়া হয়নি। উল্টো মোল্লা মুজিবরকে ডরমেটরি এমনকি পার্কে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে তিনি জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছেন প্রতিকার পেতে।