আঞ্চলিকশীর্ষ নিউজ

কর্ণফুলীতে আ’লীগের প্রতিনিধি সভায় হইহুল্লোড় আর হট্টগোল


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে ডাকা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়ে হইহুল্লোড় আর হট্টগোলে পরিণত হয়। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল বিশৃঙ্খলায় ভরপুর।

গতকাল সন্ধ্যায় আজিম হাকিম স্কুলের মিলনায়তনে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শুরু হয়। সভা শুরুতেই অনুপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ।

অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উন্নয়নের স্বার্থে সবাইকে এক হয়ে আগামী ২ নভেম্বর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আ’লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ফারুক চৌধুরী কে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানালে হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। সভাস্থলে উপস্থিত নেতাদের উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্ত করার চেষ্টা করেন।

সভায় দাঁড়িয়ে ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সদস্য দিল আহমদ শাহীন বলেন, ‘চরপাথরঘাটার ইউপি নির্বাচনে বড় নেতারা বেচাকেনা না হলে আজ নৌকার এ অবস্থা হতো না। বড় নেতারা বেইমানি করে ছোটদের শিখেয়েছে। নৌকায় এখন মানুষ আসে না। দলীয় শৃঙ্খলা নেতারা ভঙ্গ করার কারণে আজ তৃণমূল নেতাকর্মীরা অসহায়। নৌকায় ভোট চাইতে গেলে সাধারণ মানুষেরা হাসে। কেননা গত ইউপি নির্বাচনে সেলিম হক কে ডুবিয়েছেন নেতারা। সেলিম হক ব্যক্তি ইমেজে অনেকটা এগিয়েছেন।’

এ সময় আনোয়ার হোসেন মেম্বারও একই অভিযোগ করলে প্রতিনিধি সভায় আসা তৃণমূল নেতারা সবাই মুহুর মুহুর হাততালি দেন।
পরিস্থিতি আরো ঘোলেটা আকার ধারণ করলে আওয়ামী লীগ নেতা হায়দার আলী রনি পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সবাইকে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য শপথবাক্য পাঠ করান। জানা যায়, এরপরেও নেতাকর্মীরা বাইরে এসে হাসা হাসি ও বিরুপ মন্তব্য করে বলেন, ‘নেতারা শপথ মানবে না, আবার আমাদের শপথ দেয়।’

কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাজিদের সঞ্চালনায় চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ রাজার সভাপতিত্বে এ সভা শুরু হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহেদুর রহমান, নুরল আলম মেম্বার, আবু তাহের মেম্বার, মনজুর মোর্শেদ, আনোয়ার হোসনে মেম্বার, হাসমত আলী, যুবলীগ নেতা আনোয়ার সাদত মোবারক, যুবলীগ নেতা রাশেদ রানা, জাবেদ উদ্দিন চৌধুরী, সরোয়ার আজম কাজল, সাবেক ছাত্রনেতা দিল আহম্মদ শাহিন, জালাল আহম্মেদ, ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন জনিসহ প্রমূখ।

সভায় অনুপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ওয়াহেদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button