গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ গড়াই এলডিপির অঙ্গীকার: কর্নেল অলি
কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেছেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ গড়াই হচ্ছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) অঙ্গীকার। এলডিপি সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করে। এলডিপি জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে’।
২৬ অক্টোবর এলডিপির ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে কর্নেল অলি এ কথা বলেন।
এলডিপি প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদ বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী নিশিরাতের জনবিচ্ছিন্ন সরকার মনে করে আওয়ামী লীগ হলো দেশের মালিক এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা হলো এর সত্ত্বাধিকারী। গত ১৩ বৎসর দেশে মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, সুশাসন এবং জবাবদিহিতা নাই বললেই চলে। এর সুযোগ নিয়ে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবং কিছু সংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারী একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে’।
কর্নেল অলি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। অথচ আওয়ামী লীগ লুটপাটে ব্যস্ত। তারা মেগা প্রকল্পের নামে দুর্নীতি করে জনগণের সম্পদ লুটপাট করছে। আওয়ামী লীগ সরকার সুপরিকল্পিতভাবে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বর্তমানে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রশ্নবিদ্ধের ঊর্ধ্বে নয়। অনেকেই বর্তমান সরকারের পূজারি হিসেবে কাজ করছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মাদক, অসামাজিক কার্যকলাপ নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। দুর্নীতি, অন্যায়, অবিচার এবং নির্যাতন সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে প্রবেশ করেছে’।
অলি আরও বলেন, ‘কয়েকমাস আগেও তুলনামূলকভাবে পার্শ্ববর্তী ভারতের অর্থনীতি আমাদের চেয়ে অনেক খারাপ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে। দুঃখের বিষয় হল চাটুকার, দুর্নীতিবাজ, দায়বদ্ধহীনতা, বিনা ভোট, নিশিরাতের নির্বাচন, আত্মহংকার এবং আমিত্ববোধ এই সরকারের পতনের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে’।
সরকার বর্তমান অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে একটি নির্দলীয় সরকার গঠন করে নিরাপদে প্রস্থান করবেন বলে মনে করেন অলি আহমদ বীর বিক্রম।