সবাই আইন মানলে সুন্দর হয়ে উঠবে আগামীর শহর
বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) হলো একটি আইন। এ আইনকে সবার মানতে হবে। এ আইন অনুযায়ী কনস্ট্রাকশন করতে হবে। ডেভেলপাররা যে কনস্ট্রাকশন করে, ঠিক একইরকম ব্যক্তিমালিকরাও করে থাকে। শুধু ডেভেলপার বা সরকারি সংস্থা নয়, সবাই যদি আইন মেনে কনস্ট্রাকশন করে তাহলে পরিকল্পিতভাবে ঢাকা শহর গড়ে উঠবে। আর না হলে সরকার আমাদেরকে পরিকল্পিত যে শহর উপহার দিতে চাচ্ছে সেটা সম্ভব হয়ে উঠবে না বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ঢাকা অনেক পুরাতন একটি শহর। যেমন পুরান ঢাকা, বাড্ডাসহ যেসব এলাকা ঘিঞ্জিপূর্ণ সেসব এলাকায় ড্যাপ বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে যাবে। তবে নতুন এলাকাকে পরিকল্পিতভাবে সাজাতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়, তাহলে সেটার বাস্তবায়ন সহজ হবে। ড্যাপ সংশ্লিষ্টরা ঢাকায় জনঘনত্ব অনেক বেশি বলেন। তারা এই জনঘনত্ব কমাতে চায়। এই জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে ঢাকার চারপাশের এলাকায় সেসব সুবিধা দিতে হবে। ওই এলাকার মানুষগুলোকে আকৃষ্ট করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। আর ড্যাপে যে ধরনের উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু পরিকল্পনা করলে হবে না সেটা বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দিতে হবে। যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে ওইসব এলাকায় ডেভেলপাররা কনস্ট্রাকশন করবে। তিনি বলেন, ড্যাপে পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি ওয়ার্ডে স্কুল, কলেজ ও কমিউনিটি ক্লিনিক, খেলার মাঠ এবং উন্মুক্ত জায়গা রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে কৃষিজমি, জলাশয়, বনাঞ্চল এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। আর যানজট কমাতে শহরের চারপাশে রিং রোডের পাশাপাশি সড়ক, নৌ ও রেলপথের সমন্বয় করে যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে মেট্রোরেল স্টেশনকেন্দ্রিক আবাসনের কথা বলা হয়েছে। তবে ঢাকাকে এমন একটি শহরে তৈরি করতে চাই যারা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ শহরে বসবাস করবে তারা যেন পরিকল্পিত নগরী পায়।
শামসুল আলামিন বলেন, ড্যাপে এফএআরের মান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে ভবনের উচ্চতা কমে যাবে। একই সঙ্গে অ্যাপার্টমেন্ট কমে যাবে, বাসা ভাড়া বেড়ে যাবে। আর একই সঙ্গে আমাদের নির্মাণ ব্যয়ও বেড়ে যাবে। যারা ক্রেতা তারা বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হবে। এ জন্য অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন। যা আমাদের ব্যবসার জন্যও ক্ষতি। দেশের অর্থনীতির জন্যও মঙ্গলজনক নয়। তবে নিকেতন, মিরপুরসহ যেসব এলাকায় রাস্তাসহ সব ধরনের সুবিধা আছে সেসব এলাকায় ড্যাপ সংশোধন করে ফারের মান বাড়াতে হবে।