প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে জেডিএসএ সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব কবীরের সাক্ষাৎকার
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও প্রশাসনের তদারকিতে নির্মান ও
সংস্কার কাজ হচ্ছে যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে
মালিক উজ জামান, যশোর : যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম ও আঙিনা, আশপাশ সংস্কারে নব রুপ ধারন করছে। সর্বত্র ঝাড়ামোছা ও নির্মাণ ব্যস্ততা। কাজ তদারকির জন্য কেন্দ্র ও প্রশাাসনিক কর্তা প্রতিনিধিরা সার্বক্ষনিক উপস্থিত রয়েছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তত্ত্বাবধানে শামস-উল-হদা স্টেডিয়ামে ব্যাপক সংস্কার কাজ চলছে। প্রতিনিধিরা সংস্কার কাজ পরিদর্শন করছেন। যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবীর বলেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ হচ্ছে ক্রীড়া গুরু বা পিতা আর জেলা ক্রীড়া সংস্থা তার সন্তান।
সাক্ষাৎকারে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবীর বলেন, পিতা যখন কোন কাজ করে তখন সন্তানের অনুমতি প্রয়োজন হয়না। তবে সন্তানের অংশ গ্রহন থাকে। আমরা সংস্কার কাজ দেখ ভাল করছি। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৪ নভেম্বর যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে জনসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন প্রধান অতিথি হিসাবে সেহেতু সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এবং যশোর জেলা প্রশাসন কাজটির তদারকিতে রয়েছে। এখানে এখন সংস্কারে স্টেডিয়াম ও মাঠটি যেন নতুন জীবন লাভ করেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবীর জানান, বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় স্টেডিয়াম গ্যালারী ভাঙ্গা নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রকাশ হয়েছে। কিন্ত আদতে ওসব সত্য নয়। মূল সত্য এই গ্যালারী ভেঙ্গে নতুন করে গড়ার দায়িত্বে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রধান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা, সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোর আসছে এ কারনে সকলের দায়িত্ব উপযোগী পরিবেশ করার। আপাতত সেই কাজ চলছে। বিরামহীন কাজের ফাঁকে তিনি সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চ সাজসজ্জা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ।
সংস্কারে ইতিমধ্যে শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম নতুন রুপ লাভ করেছে। ঝকঝকে নতুন রঙের ছোয়া চারিদিকে। ক্রীড়া সংস্থার অফিস সংলগ্ন ভিআইপি গ্যালারীর উপর নতুন টিন সাজানো হচ্ছে। মঞ্চের স্থানটি দড়ি দিয়ে রেকি করা হয়েছে। সরকার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং তাদের একাধিক টিম স্টেডিয়াম ও আশপাশ এলাকায় সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছেন।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে জনসমাবেশ করবেন। তার থেকেও বড় কথা যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে এটি তার প্রথম জনসভা। এর আগে সরকারের একজন রাষ্ট্রপতি ১৯৮০ সালের পর জনসভা করেছিল। তারপর দীর্ঘ বিরতি। কেননা স্টেডিয়ামটি শহরের এক পাশে অবস্থিত। নিরাপদ অবকাঠামো হলেও গাড়ী চলাচলের রাস্তায় সমস্যা ছিল। সেসব সমস্যা ইতিমধ্যে নিরসন করা হয়েছে। আর ছোটখাট যে সমস্যা আছে সেগুলো দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে।
যশোরে আওয়ামীলীগের জনসমাবেশ আগামী ২৪ নভেম্বর। এতে অংশ নেবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাগম ঘটাতে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জনসভাস্থল যশোর শামস উল হুদা স্টেডিয়ামের জায়গা বাড়াতে উত্তর পাশের গ্যালারি ভেঙে ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ মাঠের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে। জেলা আ’লীগ সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার দিনক্ষণ নির্ধারিত হওয়ার পর জেলা আ’লীগের নেতারা শামস উল হুদা স্টেডিয়াম ও ঈদগাহ ময়দানকে সম্ভাব্য জনসভাস্থল নির্ধারণ করেন। তবে নেতারা স্টেডিয়ামে জনসমাবেশ করতেই আগ্রহী। তারই অংশ হিসেবে স্টেডিয়ামের মাঠকে বাড়াতে গত ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর উত্তর পাশের গ্যালারি ভাঙা শুরু হয়। দুই দিনের প্রক্রিয়ায় এখন স্টেডিয়াম ও আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের মাঠ একীভূত হয়েছে। এছাড়া জনসমাবেশ সফল করতে চলছে নানা কার্যক্রম।
৫০ বছর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্টেডিয়াম মাঠে জনসভায় বক্তৃতা করেছেন। দীর্ঘ সময় পর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের জনসভায় জনসভায় নেতৃত্ব দেবেন। এই জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। স্টেডিয়ামের মাঠ বড় করার পাশাপাশি সমাবেশে আগত জনসাধারণের সার্বিক সুবিধা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বড় পর্দায় সমাবেশ দেখার ব্যবস্থা থাকছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর যশোরসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠন গুলো। প্রতিদিন উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে চলছে প্রস্তুতি সভা। ইতোমধ্যে খুলনাঞ্চলে অওয়ামীলীগের রাজনীতির দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ভাইপো, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি যশোরে প্রস্তুতি সভায় অংশ নিয়েছেন। সেখানে নেতা-কর্মীদের তিনি উজ্জীবিত করেন। ওই প্রস্তুতি সভা শেষ পর্যন্ত বিশাল কর্মী সভায় পরিণত হয়। যশোরে জনসভা যেটি হবে, সেটি বিভাগীয় জনসভায় রূপ নেবে। আয়োজক সর্ব পর্যায়ে এ আশাতে স্মরণকালের সেরা জনসমাবেশ করতে প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। এখন চলছে তারই বিভিন্ন পর্ব।