ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইকুয়েডর। মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম বিশ্বকাপের শুরুর তৃতীয় মিনিটেই প্রতিপক্ষ স্বাগতিক কাতারের জালে বল পাঠায় ইকুয়েডর। তবে অফসাইডের মারপ্যাচে সে গোলটা হয়নি।
কিন্তু গোল পেতে ইকুয়েডরকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৬তম মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ভালেন্সিয়া। আর এভাবেই তিনি মরুর বুকের প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা হিসেবে জায়গা করে নেন ইতিহাসের পাতায়। ম্যাচের ৩২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইকুয়েডর। গোলদাতা সেই ভ্যালেন্সিয়াই। এঙ্গোলো প্রেসিয়াডোর পাস থেকে গোলটি করেন তিনি।
২-০ গোলের লিড নিয়েই প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে ইকুয়েডর। বিরতির পরও আধিপত্য ধরে রাখে লাতিন আমেরিকার দলটি। তবে খেলার শেষার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি ইকুয়েডর। নির্ধারিত সময় শেষে ২-০ গোলের জয় নিয়েই তাদের মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
এমন জয়ের দারুণ খুশি ইকুয়েডরের আর্জেন্টাইন কোচ গুস্তাভোও, ‘আমি মনে করি আমরা খুব স্পষ্টভাবে এগিয়ে ছিলাম। দাপটের সঙ্গেই জিতেছি। আমি আশা করছি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সূচনা, যেমনটা আমরা চেয়েছিলাম।’
‘বিশ্বকাপে এটা আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ জয়। ইতিহাস বদলে আয়োজক দলের বিপক্ষে জয়ে এমন সূচনা! মাঝেমধ্যে অনেক কিছু প্রতিকূলে থাকলেও পাওয়া যায়, যা বিশেষ কিছু জিনিসের উপর নির্ভর করে। এই দলটি যে কোনো ধারার বাইরে। এটি খুব বড় প্রতিশ্রুতি যা আমাদের এই জয় পেতে আত্মবিশ্বাসী করেছে।’
তবে এ জয়ের পরও সন্তুষ্ট থাকছেন না গুস্তাভো। পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে চান তিনি, ‘এটা যথেষ্ট নয়। এটা কেবল মাত্র শুরু। সামনের ম্যাচে আপনাকে লড়াই করতে হবে এবং (পরবর্তী রাউন্ড) নিশ্চিত করতে হবে।’