ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, আমরা যেন কারো কথায় কিংবা লোভে বিভ্রান্ত না হই। বস্তি উচ্ছেদ করলেও আগে তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য প্রতিটি বিষয়ের সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। নিজ নিজ স্থানে সবাই কাজ করলে দুর্নীতির পথ সংকুচিত হবে এবং সঠিক স্থানে সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পৌঁছাতে পারবে।
রাজধানীর কেআইবি কনভেনশন হলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক জাতীয় সংলাপের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নগর অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচন ও বৈষম্য নিরসনে করণীয়’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওর-সিইউপি’।
কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিইউপির সভাপতি ডা. দিবালোক সিংহ।
বক্তব্য রাখেন আরমা দত্ত এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর গ্রেটা ফিডজেরাল্ড, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, বস্তিবাসীর অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি হোসনে আরা বেগম রাফেজা, কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওর এর নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত।
মো. শামসুল হক টুকু বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনাদের সুপারিশগুলো সরকারের পরিকল্পনার মধ্যেই রয়েছে। সুতরাং আমরা যেন কারো কথায় কিংবা লোভে বিভ্রান্ত না হই। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত ও বৈষম্যহীন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।