হত্যার ৯ বছর পর ৫ ভাইসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন
নওগাঁর বদলগাছীতে ২০১৩ সালে গভীর নলকূপের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে উজ্জ্বল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার নয় বছর পর পাঁচ ভাইসহ ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া তিনজনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন-বদলগাছী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান, তার ভাই ওয়াহেদ আলী, সামসুজ্জামান, রকেট ও ডাবলু, একই গ্রামের আব্দুল হামিদ ও তার ভাই এনামুল হক, মোশাররফ হোসেন, বজলুর রহমান ও এমদাদুল হক। খালাস পাওয়া তিনজন হলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত বজলুর রহমানের স্ত্রী করিমা বেগম, এনামুলের স্ত্রী জলি আক্তার ও দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হবিবরের ছেলে জীবন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বদলগাছী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের একটি গভীর নলকূপের মালিকানা গ্রামবাসীর দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছি। ওই বিরোধের জেরে ২০১৩ সালের ৯ মে দুর্গাপুর গ্রামের কামরুজ্জামান ও তার চার সহোদরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী উজ্জ্বল হোসেনসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করেন। ঘটনার চারদিন পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উজ্জ্বল মারা যান। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১০ মে দুর্গাপুর গ্রামের গভীর নলকূপ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর বদলগাছী থানার উপ-পরিদর্শক লেলিন আলমগীর ১৩ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকসহ ১৮জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি আব্দুল বারী ও আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মামুনুর রশিদ।