সৌদি আরবের ধাক্কা শক্তিশালী করেছে আর্জেন্টিনাকে
৩২ বছর আগের কথা। বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক সেবার ইতালি। বি গ্রুপে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ক্যামেরুন, রুমানিয়া এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৯০ সালের ৮ জুন বিশ্বকাপ ইতিহাসের বড় অঘটনগুলোর একটা ঘটিয়ে দেয় ক্যামেরুন। মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে ওমান বিয়িকের গোলে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেয় তারা। সেই বিশ্বকাপে পরের দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে থেকে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। এরপর ফাইনালও খেলে আলবেসিলেস্তরা। ২২ বছর পর আরও একবার অঘটনের শিকার আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপে সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে মিশন শুরু করেন মেসিরা। দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখলেও শঙ্কা কাটেনি এখনো। এই শঙ্কা নিয়েই আজ নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামে পোল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ সালে দিয়েগো ম্যারাডোনারা ফাইনাল খেলেছেন বাজে সূচনার পরও। লিওনেল মেসিরা কী পারবেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে!
সি গ্রুপে দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান পোল্যান্ডের। সমান ম্যাচে তিন পয়েন্ট আর্জেন্টিনার। সৌদি আরবেরও আছে তিন পয়েন্ট। মেক্সিকো এক পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে। তবে মেক্সিকোর সুবিধা হলো, তাদের প্রতিপক্ষ সৌদি আরব। যারা ঘটনাক্রমে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দিলেও পোল্যান্ডের বিপক্ষেই নিজেদের সত্যিকারের রূপ মেলে দিয়েছে। তবে মেক্সিকো-সৌদি আরব ম্যাচের ফল যাই হোক, আর্জেন্টিনার বিপদ কমছে না। পোল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই মেসিদের। বিশেষ করে মেক্সিকো একটু বড় ব্যবধানে জিতে গেলে আর্জেন্টিনা ড্র করলেও বিদায় নিতে পারে।
পোল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেস বলেন, সৌদি আরব ম্যাচটি তাদের জন্য টনিক হিসেবে কাজ করেছে।
“হেরে যাওয়া লড়াই থেকেই সবচেয়ে বেশি শেখা যায়, কারণ জয়ের মধ্যে থাকলে ভুলগুলো চোখে পড়ে না। দল এখন আরও শক্তিশালী, আরও ভালোভাবে প্রস্তুত।”
“কোপা আমেরিকা বা ফিনালিস্সিমা জয়, যাই হোক না কেন, বিশ্বকাপের একটি ম্যাচের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না। ম্যাচগুলো এখানে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। মাঠে আমরা আরও অনেক কিছু দিতে চাই। আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে এসেছি, সেখানে এখনও পৌঁছাতে পারিনি।”