প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্রিটিশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করবো, তারেক জিয়াকে ফেরত পাঠাতে বলবো। এদেশে নিয়ে এসে ওর সাজা বাস্তবায়ন করবো।
আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সাথে নগর ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় গণভবন থেকে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির অপকর্মের জন্য ইমার্জেন্সি আসলো। আর মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেলো। এতো সাহস থাকলে দেশে ফিরে আসলো না কেন? অথচ আমাকে দেশে আসতে দেবে না। আমি আসবো মামলার মুখোমুখি হবো কোর্টে দাঁড়াবো। এক প্রকার যুদ্ধ করেই দেশে আসি।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হওয়ার পর দেশে ফিরে আসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওর (তারেক রহমান) বাপও তো ঠেকাতে পারিনি। আমি দেশে ফিরে এসেছি। রাজনীতি করার শখ বাহিরে পালাতে থাকে কেন? আওয়ামী লীগ উৎখাত করবে! আওয়ামী লীগ ভেসে আসেনি! আওয়ামী লীগ বিএনপির মতো পকেট মধ্যে সৃষ্টি হওয়া দল না- এটা মনে রাখতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেছেন, বহু মার খেয়েছি। আর নয়, যে হাত মারতে আসবে সে হাত ভেঙে দিতে হবে। যে হাত আগুন দিতে আসবে সে হাত সেই আগুনে দিতে হবে। আর সহ্য করা হবে না। আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের ভোট চুরি করেনি বরং জনগণের ভোট সংরক্ষণ করেছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের বিএনপি ভোট চুরি করেছিল বলে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। আমরা ১৪ বছরে এতো উন্নতি করতে পারলে ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা করতে পারলো না কে ? আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। ৬ বছর থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধ কেউ রক্ষা পায়নি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর গুণে গুণে তার জবাব দিতে পারতাম। সেই ক্ষমতা আওয়ামী লীগের আছে। কিন্তু আমরা তা করিনি।