কাগজপুকুরের তনিমা ফিলিং স্টেশন মালিককে ফিরিয়ে না দিয়ে জবর দখলের চেষ্টা
মালিক উজ জামান, যশোর : পাম্পের জমি রেজিস্ট্রি, ব্যাংক ঋনের পরও পাওনাদারকে একটি পেট্টোল পাম্প বুঝে দেওয়া হচ্ছেনা। উপরোন্ত জবরদখলকারীরা প্রকৃত জমি মালিক পক্ষ কে মিথ্যা ও হয়রানি মামলায় নাজেহাল করছে। প্রেসক্লাব যশোরে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছেন যশোরের শার্শা উপজেলার বসতপুরের মৃত দুদু মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেন।
আনোয়ার হোসেন জানান, তার আপন ভাইয়ের সাথে গোলাম কিবরিয়ার সুসম্পর্ক হয়। ফলে চারকোটিরও বেশি টাকা তারা পাওনা রয়েছে, শার্শা উপজেলার যাদবপুরের মৃত আলহাজ লতিফ খানের পুত্র গোলাম কিবরিয়ার কাছে। এ কারনে তিনি যশোর বেনাপোল সড়কের গায়ে কাগজপুকুরে তনিমা ফিলিং স্টেশনটি লিখে দেন। ২০১৭ সালের ৪ জুন শার্শা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি হয় যার কবলা দলিল নম্বর ৩৭৯২। তফশিল জমির অবস্থান জেএল নম্বর ৫০ কাগজপুকুর মৌজার ডাঙ্গা আর এস চুড়ান্ত দাগ নং-৪১৫৩ এর ১১৫ শতক জমি। ২০২০ সালে ফিলিং স্টেশনটি আনোয়ার হোসেনের ভাই জামাল হোসেন গং কে বুঝে দেওয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবধি তা বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। উল্টো ২৭/১০/২০২০ তারিখে একটি হয়রানি মামলা করেন গোলাম কিবরিয়া গং। মামলা নম্বর ৩৪০/২০। সেই মামলাটি বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দেন। এরপর ২৮/১১/২০২২ তারিখে আরো একটি মামলা করান শ্যামলাগাছির শাহাবুল কে দিয়ে। এরপর বিজ্ঞ আদালত নালিশী জমিতে ৩০ দিন বা এক মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এভাবে একের পর এক মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলায় আনোয়ার হোসেন, তার ভাই জামাল হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, শেখ আহম্মদ, আমিনুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে শার্শা উপজেলার বসতপুরের মৃত দুদু মিয়ার পুত্র জামাল হোসেন (৪০) বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত বেনাপোল পোর্ট যশোরে একটি মামলা করেছেন। মামলা নম্বর সি.আর-২০৫/২২। গত ৪ ডিসেম্বর এই মামলাটি ৩৮৪/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারায় করা হয়েছে। এই মামলার আসামিরা হচ্ছে, শার্শা উপজেলার নাভারন সাতক্ষীরা মোড়ের মৃত গোলাম কিবরিয়ার পুত্র ফাইয়াজ কিবরিয় (২৪), ফারদিন কিবরিয়া (২২), তনিমা তাসনুভা (৩০), বেনাপোল পোর্ট থানার দীন মোহাম্মদ খাঁনের পুত্র গোলাম মোর্শেদ সেলিম (৪৫) ও নাজমুল (৪০)। মামলাটির তদন্তভার অর্পণ করা হয়েছে সিআইডি পুলিশের উপর।