
তুরস্কের আংকারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়। শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত পাঠ করা হয় এবং শহীদদের স্মরণে ০১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন শাহ্নাজ গাজী, চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন মোঃ রফিকুল ইসলাম, দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান। এর পরপরই শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অত্র দূতাবাসের ‘বিজয় একাত্তর মিলনায়তন’-এ ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষ্যে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনাপর্বে দূতাবাসের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা প্রকাশ এবং সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কথা বিশদভাবে তুলে ধরেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন পাকিস্তানিরা তাদের নিশ্চিত পরাজয়ের কথা আঁচ করতে পেরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাঙ্গালি বুদ্ধিজীবী নিধনের বিষয়টিকে বিশেষভাবে প্রধান্য দেয়। এভাবেই পাকিস্তানিরা সারা দেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলার জনগণ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করে পৃথিবীর মানচিত্রে যুক্ত করেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে। পরিশেষে, উপস্থিত সকলকে আপ্যায়নের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।