গাড়িখানা কাশেম টাওয়ারের পরিচালকের কাছে চাঁদাদাবি অভিযোগে মামলা
মালিক উজ জামান, যশোর : চাঁদাদাবি, চাঁদা আদায় চুরি ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে যশোর শহরের গাড়িখানার নদী বাংলা লিমিটেডের কাশেম টাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। শুক্রবার তিনজনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন নদী বাংলা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি ইসাহাক সড়কের মৃত এস এম সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান কবির, ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের বর্তমানে পুরাতন কসবা পারহাউজ পাড়ার মৃত খোদাবক্স বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল হামিদ বিশ্বাস, ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের বর্তমানে পুরাতন কসবা পুলিশ লাইনের মৃত ফজলে করিম বিশ্বাসের ছেলে নুর আলম।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গাড়ি খানায় ৫ শতক জমিতে বেইজমেন্টসহ ১০ তলা বিল্ডিং তৈরির জন্য জমির মালিক আব্দুল হামিদ গংয়ের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে ডেভেলপার হিসেবে ৫তলা বিল্ডিং নির্মানের কাজ সম্পন্ন করা হয়। বিল্ডিং করা কালিন সময় আসামিরাসহ অজ্ঞাত নামা আসামিরা বিল্ডিং করা বাবদ তার কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় তারা আমাকে হুমকি দেয়। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় খুন জখমের হুমকি ধামকি দেয়। গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে ১৫ গাড়ি খানা রোড জামে মসজিদের গলিতে আসামিরা চাঁদা স্বরুপ দুই লাখ টাকা নেয়। বাকি টাকা দুই দিনের মধ্যে না দিলে ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। বাকি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ৫ ডিসেম্বর বিকেলে ১৫ গাড়ি খানা রোডে অবস্থিত নদী বাংলা কাশেম টাওয়ারের অফিস থেকে একটি কনফারেন্স টেবিল মূল্য আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা টেবিলের লকারের ভিতর থেকে একটি এ্যাপেল ল্যাপটপ সহ গুরুত্বপূর্ন ডকুমেন্টসহ আনুসঙ্গিক জিনিস পত্র আসামিরা কৌশলে নিয়ে যায়। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয় যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুলের ইন্ধনে ও পরামর্শে আসামিরা এই সমস্ত কর্মকান্ড করছেন।
জানা গেছে, আসামিরা প্রকৃত অর্থে কাশেম টাওয়ার জমির মালিক। তাদের সাথে নদী বাংলার চুক্তি রয়েছে। তবে সম্পত্তির অংশ সঠিক বন্টন না করা, নিয়ম বরখেলাপ এবং অন্যান্য কারনে বাদি একই আসামিদের বারবার বিভিন্ন মামলায় নাজেহাল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে গত সপ্তাহে জমির প্রকৃত মালিকরা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেসময় তারা জানান মোস্তাফিজুর রহমান আব্দুল হামিদ বিশ্বাসের ভাগ্নে ও তার মা জমির ওয়ারেশ। নুর আলমও জমির অংশীদার। এসব কারনে মামলার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। বাদি পুলিশকে প্রভাবিত করে মামলাটি রজ্জু করেছে বলে অভিযোগ আছে।