এ সময় রাষ্ট্রদূত উপস্থিত প্রবাসীদের কাছে জানতে চান তারা বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠান কিনা। জবাবে প্রবাসীরা বলেন, তারা বৈধ পথেই দেশে টাকা পাঠান। রাষ্ট্রদূত এসময় সব প্রবাসীর বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠানোর অনুরোধ করেন ও সরকার ঘোষিত সুবিধাদি নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে তা আপনার পরিবারই পাবে কিন্তু দেশে মার্কিন ডলারের রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে ও দেশের অর্থনীতির উপকার হবে।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যূলেট সীমিত লোকবল দিয়ে সৌদিতে বসবাসরত প্রায় ২৮ লাখ অভিবাসীকে আন্তরিকভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত দূতাবাসের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন কারণে মারা যাওয়া প্রবাসীদের ৯৬৯টি মরদেহ দেশে পাঠানো হয়েছে। একই সময়ে মৃত প্রবাসী কর্মীদের বকেয়া বেতন-ভাতা, সার্ভিস বেনিফিট ও মৃত্যুজণিত ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ১ কোটি সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ প্রায় ২৮ কোটি টাকা বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত জানান, চলতি বছর দূতাবাসের সেইফ হাউজে ৫৭৯ জন আশ্রয়প্রার্থী নারী গৃহকর্মীকে নিরাপদ আশ্রয়, খাবার ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। আইনগত সেবার মাধ্যমে শ্রম আদালতে মামলা করে তাদের বকেয়া পাওনা বাবদ মোট প্রায় ২ লাখ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪২৮ জন নারী গৃহকর্মীকে সেইফ হাউজ হতে এবং সেইফ হাউজের বাইরে থেকে ৭৩৬জন নারী গৃহকর্মীকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে ৯ হাজার ১০৭ জন বাংলাদেশি কর্মীকে প্রবাসী কল্যাণ কার্ড দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মো. রেজায়ে রাব্বী। আলোচনা শেষে অভিবাসীদের জন্য ও দেশ, জাতির সার্বিক মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়।