অবৈধ দখলে থাকা জুট মিলস কর্পোরেশনের জমি বিক্রির সুপারিশ
অবৈধ দখলে থাকা বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের অব্যবহৃত জমি বিক্রয় করে অর্জিত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে বেদখলে থাকা জমি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি দখলকৃত জমির সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি) এর বন্ধ ১৬টি মিল পিপি’র মাধ্যমে পুনরায় চালুর অগ্রগতি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে কমিটি।
রবিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র ১৩তম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করন কমিটির সভাপতি মির্জা আজম। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শাহীন আক্তার খাদিজাতুল আনোয়ার, তামান্না নুসরাত (বুবলী), মোহাম্মদ হাবিব হাসান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে বিজেসি’র বেদখলকৃত জমি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি দখলকৃত জমির সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করে অবৈধ দখলে থাকা অব্যবহৃত জমি বিক্রয় করে অর্জিত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার সুপারিশ করা হয়। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি) এর বন্ধকৃত ১৬টি মিল পিপি’র মাধ্যমে চালু করার বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কাদেরীয়া টেক্সটাইল মিলস খুব দ্রুত চালু করাসহ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে চারটি মিলের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে সভায় অবহিত করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী এলাকায় টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপনসহ গৃহীত প্রকল্পসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।