চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ব্যবসায়ের কাজে চট্টগ্রামে আসেন। মানুষ এই শহরকে চিনে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে। আমি চাই এটি কেবল বাণিজ্যিক নগরীর পরিচয়ে আবদ্ধ না থেকে ভ্রমণপিপাসুদের স্বর্গে পরিণত হোক। দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের কলরবে মুখর হোক এই জনপদ।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলসের সাথে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন চসিক মেয়র ।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের বিনোদন খাত প্রসারিত হলে মানুষ নিজেদের কাজ শেষ করে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পরবে। আর তেমনটা হলে চট্টগ্রামের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে। পর্যটন খাতের সম্ভাবনা মাথায় রেখে ওশান এমিউজম্যান্ট পার্কসহ অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যসাধনে নানামুখী পদপেক্ষ নেওয়া হচ্ছে।
কানাডা চট্টগ্রামের ট্যুরিজম খাতের বিকাশে বিনিয়োগ করতে চাইলে চসিক ভূমি বরাদ্দ দিবে—এমনটা জানিয়ে মেয়র রেজাউল করিম বলেন, চট্টগ্রামে একটি সব ধরনের সুবিধাসম্পন্ন বৃহদাকার হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে কানাডা বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে পারে। চসিক পরিচালিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে কানাডা।
এ সময় কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস একাত্তরে যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে দেওয়া সহায়তার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরে কানাডা সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে কানাডা সবসময়েই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এসেছে এবং বর্তমানে সাহায্যের ক্ষেত্রগুলোকে আরো প্রসারিত করতে চায়। এসময় চসিক মেয়র সুনির্দিষ্ট কোন বিষয়ে সহায়তা চাইলে তা পূরণের আশ্বাস দেন ড. লিলি।
সৌজন্য সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন—কানাডা হাইকমিশনের সিনিয়র ট্রেড কমিশনার এন্ড কাউন্সিলর অ্যাঞ্জেলা ডার্ক, ট্রেড কমিশনার কাজী গোলাম ফরহাদ, চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ।