তুরস্কে ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪১ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
তুরস্কে ভূমিকম্পে ধসে পড়া একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে দীর্ঘ ৪১ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল বাংলাদেশি এক শিক্ষার্থী। তার নাম গোলাম সাঈদ রিংকু।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশি কূটনীতিক শাহানাজ গাজী।
জানা গেছে, গোলাম সাঈদ রিংকুর বাড়ি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার কাগইলের দেওনাই গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলামের ছেলে।
রিংকু স্থানীয় কাগইল করুনাকান্ত উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর বগুড়ার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল ও কলেজ (এপিবিএন) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ২০১৫ সালে স্কলারশিপ নিয়ে তুরস্কে পড়তে যান। সেখানে কারামানমারাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগে পড়াশোনা করছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি পার্ট টাইম চাকরিও করতেন।
সোমবার তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় নিখোঁজ হন রিংকু। ভূমিকম্পের ঘটনার দীর্ঘ ৪১ ঘণ্টা পর একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
রিংকুর মামা সাজেদুর রহমান জানান, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কাহরামানমারাসে থাকে রিংকু। সে যে ভবনটিতে থাকত সেটি ভূমিকম্পে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপর থেকে তার বন্ধুরা রিংকুর খোঁজ পাচ্ছিল না। বিষয়টি সোমবার সন্ধ্যায় রিংকুর বাড়িতে জানায় বন্ধুরা।