আমাদের ছেলেমেয়েরা খুব মেধাবী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটু সুযোগ পেলে তারা অসাধ্য সাধন করতে পারে।
২০২২ সালে অনুষ্ঠিত উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও পরিসংখ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাসের হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা একটু বেশি। প্রায় আড়াই শতাংশ বেশি, এখানে ছেলেদের বলব পড়ালেখায় আরও মনোযোগী হওয়া দরকার। এক্ষেত্রে অভিভাবক ও শিক্ষকরা একটু মনোযোগী হবেন।
তিনি বলেন, শিক্ষিত জাতি ছাড়া কখনও একটি দেশ উন্নত হতে পারে না। আমরা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবচেয়ে দরকার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী, আমি মনে করি এটাই হচ্ছে হাতিয়ার। এজন্য জাতির পিতা সবসময় শিক্ষাকে শুধু গুরুত্বই দেননি, শিক্ষায় যে টাকাটা ব্যয় হবে সেটাকে তিনি বিনিয়োগ হিসেবে দেখতেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা শিক্ষাকে সবসময় গুরুত্ব দিয়েছি। সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য আমরা সবসময় পদক্ষেপ নেই, এমনকি আমাদের একটা প্রজেক্ট ছিল নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রতিটা জেলা যাতে নিরক্ষরমুক্ত হয় সেভাবেই উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কয়েকটি জেলার মধ্যে এটা ঘোষণাও করা হয়েছিল। ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি, তার পরে বিএনপি ক্ষমতায় আসে, সে প্রজেক্ট আর তেমনভাবে কার্যকর হয়নি।
তিনি বলেন, আমার শিক্ষাকে বহুমুখীকরণ করেছি, শিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমানে যুগের সঙ্গে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন তাল মিলিয়ে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। প্রতি জেলায় আমরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি, সেটা একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, আবার উচ্চশিক্ষার সুযোগও সৃষ্টি হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় আমরা করেছি। একটা মাত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, আমরা কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি দেখেছিলাম বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের অনীহা ছিল, আমি সে সময় ১২টি বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দিয়ে একটি আইন করে দিই। তারপর বহুমুখী বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। আমরা সবসময় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।