বাংলা একাডেমিতে অমর একুশে বইমেলায় তিনটি বই স্টলে না রাখার শর্তে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এই বইগুলো হলো ফাহাম আবদুস সালামের লেখা ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’, জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’। কিন্তু এরকম কোনো শর্ত আরোপ না থাকায় আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় ভালোই বিক্রি হচ্ছে জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’ বই দুটি।
যদিও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পক্ষ থেকে ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ বইটির প্রদর্শন ও বিক্রয় থেকে বিরত থাকতে বলার কারণে এই বইটি স্টলে রাখা হয়নি।
গত ৩০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার। পর দিন ৩১ জানুয়ারি থেকে বই মেলার দ্বার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। আর মেলা শুরুর প্রথম দিন থেকেই ভালোই সারা পাওয়া যাচ্ছে এই দুটি বইতে।
এবারের ৪৬ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় বঙ্গভবনের আদলে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ান। তাতে অংশ নিয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরসহ ৪৩টি প্রকাশনা সংস্থা। এর মধ্যে অন্যতম আদর্শ প্রকাশনীর ১০ নম্বর স্টল।
এই স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্ত খায়রুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার এ বইগুলো নিষিদ্ধ করেনি। আপত্তি জানিয়েছে, বাংলা একাডেমি। তারা বিক্রি করতে না করেছে। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি থেকে শুধু বলেছে ফাহাম আবদুস সালামের লেখা ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ বইটি স্টলে রাখা যাবে না। তাই রাখিনি। যদিও বাকি দুইটি বই নিয়ে কিছু বলেনি। তাই উন্নয়ন বিভ্রম, অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা বই দুটি রেখেছি।’
বইগুলির চাহিদা নিয়ে তিনি বলেন, ‘চাহিদা মোটামুটি। তবে বেশি চাহিদা আছে মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে। কিন্তু আমরা রাখিনি।’
উল্লেখ্য, আদর্শ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ বইটি আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার প্রদর্শন ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে বলে শুরুতেই চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি।