ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম যৌথভাবে ‘Foster Responsible Digital Citizenship to Promote Freedom of Expression in Bangladesh’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল সিটিজেন হতে সহায়তা করা এবং তাঁদের মাঝে গঠনমূলকভাবে স্বাধীন মত প্রকাশের চেতনা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্পের সূচনা। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে, ০৮ ও ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত ডিজিটাল সিটিজেনশিপ নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে লার্নিং সেশনের আয়োজন করা হয়। এই দুই দিনে, চারটি লার্নিং সেশনে অংশগ্রহণ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রায় ১০০ জনের অধিক কৃতি শিক্ষার্থী। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস জুড়েই এই বিষয়ে লার্নিং সেশনের শিক্ষার্থীরা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে পিয়ার লার্নিং কার্যক্রম চালাবে। লার্নিং সেশনে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকরা। সেশনে বক্তব্য রাখা শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখ হলেন- ড. রবিউল ইসলাম, মো: শাওন উদ্দিন, ড. সুমাইয়া খানম, মো: শফিকুজ্জামান জোয়ারদার এবং রাদিয়া আওয়াল তৃষা। অর্ধ বেলার লার্নিং সেশনগুলো পরিচালনা করেন ডিনেটের পক্ষ থেকে নিয়াজ ইসলাম আরিফ এবং প্রজুরী দে।
লার্নিং সেশনে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিভিন্ন উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়; যা তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনে সচেতন ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীরা সেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং নিজ জীবনে এই শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে উৎসাহী হন। এই লার্নিং সেশনে অংশগ্রহণের পর উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস জুড়ে ডিনেট-এর তত্ত্বাবধানে তাঁদের সহপাঠীদের সাথে ১০০ পিয়ার লার্নিং সেশন পরিচালনা করবেন, যার প্রতিটিতে চার থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকবেন। এই পিয়ার লার্নিং সেশনগুলোতে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় জানতে পারবেন এবং একটি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা চর্চার পদ্ধতি সম্পর্কে জানবেন। যা তাঁদের ডিজিটাল দুনিয়ায় বিচরণের ক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন এনে একজন গর্বিত ডিজিটাল নাগরিকে পরিণত হতে সহায়তা করবে।
লার্নিং সেশনে ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাইরা নিজাম বলেন- “বর্তমানের ডিজিটাল যুগে নিরাপদে বিচরণের জন্য ও অনলাইনে গঠনমূলক ও সহনশীল পরিবেশ তৈরির জন্য ডিজিটাল সিটিজেনশিপ শিক্ষার অন্য কোনো বিকল্প নেই।”
লার্নিং সেশনে ডিনেট’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আসিফ আহমেদ তন্ময় বলেন- “শিক্ষার্থীরাই হল সমাজ পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু ডিজিটাল সিটিজেন হবার ব্যাপারে তাদের দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির একটি ক্ষেত্র বিদ্যমান রয়েছে। তাই ডিনেট এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করছে।”
এর পাশাপাশি প্রকল্পের ওয়েবসাইট https://www.digitalcitizenbd.com/-এ আছে তরুণ সমাজবান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগ যা থেকে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় জানতে পারবেন এবং একটি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা চর্চার পদ্ধতি সম্পর্কে জানবেন। যা তাঁদের ডিজিটাল দুনিয়ায় বিচরণের ক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন এনে একজন গর্বিত ডিজিটাল নাগরিকে পরিণত হতে সহায়তা করবে।