টেক্সটাইল খাতের জন্য উদ্ভাবনী বিভিন্ন সমাধান নিয়ে এসেছে এপিআর
এশিয়ার প্রথম ইন্টিগ্রেটেড ভিসকোস রেয়ন প্রোডিউসার (উৎপাদনরী) এপিআর ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট মেশিনারি প্রদর্শনীর ১৭তম সংস্করণে এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত সমাধানগুলো প্রদর্শন করবে
[ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩] ভিসকোস রেয়ন উৎপাদনকারী এশিয়া প্যাসিফিক রেয়ন (এপিআর) ১৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট মেশিনারি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে। প্রদর্শনীটি আজ থেকে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শুরু হয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এ প্রদর্শনীতে স্থানীয় টেক্সটাইল ও পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্লোবাল সাপ্লায়ারদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করার এবং বিভিন্ন ডিজিটাল সমাধান ও উদ্ভাবন সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে।কা
এপিআর এশিয়ার প্রথম ইন্টিগ্রেটেড ভিসকোস রেয়ন প্রোডিউসার (উৎপাদনকারী), যারা প্ল্যান্টেশন থেকে ভিসকোস ফাইবার উৎপাদন করছে। এপিআর একটি ব্যক্তি মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান এবং সম্পদ-ভিত্তিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি নিয়ে গঠিত রয়্যাল গোল্ডেন ঈগল (আরজিই) গ্রুপের সদস্য। এপিআর ইন্দোনেশিয়ার রিয়াউয়ের পাংকালান কেরিনসিতে অবস্থিত মিলে পরিবেশ-বান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার পাশাপাশি অত্যাধুনিক উৎপাদন সুবিধা ও উদ্ভাবনের সমন্বয় করে বার্ষিক প্রায় ২,৪০,০০০ টন ভিসকোস স্টেপল ফাইবার উৎপাদন করে। এছাড়া, এপিআর ইন্দোনেশিয়ার প্রথম ভিসকোস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভিসকোস স্টেপল ফাইবার সংক্রান্ত সুইস-ভিত্তিক সার্টিফিকেশন সংস্থা ঐক্যটেক্স কর্তৃক সাসটেইনেবল টেক্সটাইল প্রোডাকশন (এসটিইপি) সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
এপিআরের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক বাংলাদেশ এবং এর পরিমাণ মোট রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশ। কোম্পানিটি বিশ্বব্যাপী ২০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করছে, যার মধ্যে প্রধান রপ্তানি বাজারগুলো হল তুরস্ক, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।
এপিআর প্রদর্শনীতে তাদের সুতা এবং তন্তুর নমুনা প্রদর্শন এবং সরবরাহ করবে। সুতা আমদানি করার ক্ষেত্রে দর্শনার্থীরা তাদের প্রয়োজন সরাসরি উৎপাদনকারীদের জানাতে পারবেন। এছাড়াও, এপিআর এর এপিআর২০২৩ এজেন্ডার অধীনে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবে, যার মধ্যে থাকবে: ভিসকোস উৎপাদনে ফাইবারের দায়িত্বশীল সোর্সিং। এপিআর২০৩০ লক্ষ্যের মধ্যে আরও রয়েছে ভিসকোস স্টেপল ফাইবারের প্রতি টন উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমানো, মিলের জ্বালানির ক্ষেত্রে শতভাগ নবায়নযোগ্য ও পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানির ব্যবহার, কার্যক্রম পরিচালনা ও রিকভারি সিস্টেমের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সমাধানের উন্নয়নে বিনিয়োগ এবং ভিসকোস উৎপাদনে ২০ শতাংশ ওয়েস্ট কম্পোজিশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে টেক্সটাইল পুনঃব্যবহারের উদ্ভাবন ত্বরাণ্বিত করা।
ভিসকোস-রেয়ন হল অ্যাক্রেলিক, পলিয়েস্টার, নাইলন এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম-ভিত্তিক সিন্থেটিক কাপড়ের একটি বিকল্প, যা সম্পূর্ণ বায়োডিগ্রেডেবল। বিশ্বজুড়ে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো অ-জীবাশ্ম জ্বালানি-ভিত্তিক উপকরণ ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে, যে কারণে ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৮ সালের মধ্যে ভিসকোস-রেয়নের সমন্বিত বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার (সিএজিআর) ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তুলার মতো আরামদায়ক ও সিল্কের মতো মসৃণ ভিসকোস-রেয়ন অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যদায়কভাবে গায়ে জড়িয়ে যাবে এবং এর ডিজাইনও বেশ আকর্ষণীয়।
এশিয়া প্যাসিফিক রেয়নের মার্কেটিং অ্যান্ড ডাউনস্ট্রিম ডেভেলপমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট তপন সান্নিগ্রাহি বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেক্সটাইল খাতে অন্যদের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের ভিএসএফ (ভিসকোস-স্টেপল ফাইবার) ব্যবসা আন্তর্জাতিক বাজারে ধারাবাহিকভাবে সম্প্রসারণ করবে। গ্রাহকদের টেকসই ভিসকোস নিয়ে চাহিদা পূরণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে, একইসাথে যেমন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা হবে, পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের পণ্য থাকবে এবং দামও হবে প্রতিযোগিতামূলক।