প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাষা ও সংস্কৃতি ধ্বংসের চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানিরা। বারবার বাংলা ভাষার ওপর আঘাত আসে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় একুশে পদক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক ২০২৩’ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ১২টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক এই পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেন সবার হাতে।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখায় খালেদা মনযুর-ই-খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. কে. এম. শামসুল হক (মরণোত্তর) ও মো. মজিবর রহমান।
শিল্পকলায় অভিনয় ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পেয়েছেন মাসুদ আলী খান ও শিমূল ইউসুফ। সংগীতে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আব্দুল হাকিম ও ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর), আবৃত্তিতে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় এবং শিল্পকলায় নওয়াজীশ আলী খান ও কনক চাঁপা চাকমা (চিত্রকলা)। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় একুশে পদক পেয়েছেন মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), গবেষণায় ড. আবদুল মজিদ, শিক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর)।
সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও সাইদুল হক, রাজনীতিতে অ্যাড. মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর) ও আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান।
পুরস্কার হিসেবে সবাইকে একটি আঠারো ক্যারেটের স্বর্ণপদক, এককালীন অর্থ (চেক) ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।