বিশ্বশীর্ষ নিউজ
জেদ্দায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেদ্দা
সৌদিআরব প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী চেতনা ও আপসহীনতার প্রকাশ পাওয়া যায় তার ছেলেবেলা থেকে। তিনি ছেলেবেলার খোকা থেকে শেখ মুজিব, তা থেকে শেখ সাহেব এবং ক্রমান্বয়ে বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা ও পরবর্তীতে বিশ্বনেতা হয়েছিলেন। সেই মানুষটির জীবন যদি আমরা পর্যালোচনা করি তার সাথে আলোচনা করি বাংলাদেশের জন্ম, কেননা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।
গতকাল শুক্রবার ১৭ই মার্চ বাংলাদেশ কনস্যুলেট কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক, গতকাল জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন,
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শিশুদের প্রতি বন্ধুবৎসল। শিশুরা যেন সুন্দর সোনার বাংলাদেশে বড় হতে পারে সে জন্য তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিতকে মজবুত করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। তার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের বাংলাদেশের অর্থনীতির এ অসামান্য অর্জন প্রধানমন্ত্রীর অবদান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। কেননা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। তাই আমাদের প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। ’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা আয়োজনের প্রথম পর্বে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তখন সেখানে কনস্যুলেট এর সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, আওয়ামীলীগ, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন, এ দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনাসভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ত পর্বে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বাংলা ভাষার শব্দের বানান প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সহ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ জেদ্দার বাংলা শাখা ও ইংলিশ মিডিয়াম ছাত্র ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচে গানে আগত অতিথিদের মুগ্ধ করেন ।