ঢাকায় সৌদি ভিসা সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধন
ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভিসা সার্ভিস সেন্টার চালু করেছে সৌদি কোম্পানি পিআইএফ। এটি সৌদি কোম্পানি তাহাকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
ভ্রমণ প্রক্রিয়াকে সহজ করার লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত এই ভিসা সার্ভিস সেন্টারটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, ঢাকায় অবস্থিত সৌদি দূতাবাসের কনসাল জেনারেল মেশারি আল থাইবি, সৌদি আরবের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি পরিচালক ফাহাদ এবথনাইন এবং ভিসা ও ট্রাভেল সল্যুশনসের সৌদি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ সুলাইমান আল আমাউদ।
স্থানীয় সরকার, সৌদি সরকার ও দূতাবাস থেকে ঢাকার সৌদি ভিসা সার্ভিস সেন্টারে আবেদনকারীদের বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হবে। এই সেন্টারের মাধ্যমে ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া দক্ষতার সঙ্গে আরও কম সময়ে ও সহজে করা সম্ভব হবে। এই উদ্যোগ সৌদিতে পর্যটন ব্যবসাকে উৎসাহিত করবে এবং আরব দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
বর্তমানে এই ভিসা সেন্টার পর্যটক, ব্যবসা, পারিবারিক ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভাগের ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন গ্রহণ করছে। কাজের ভিসা জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে।
তাশির ব্র্যান্ডের আওতায় সৌদি কোম্পানি ভিসা অ্যান্ড ট্রাভেল সলিউশনসের জন্য ৩৩টি দেশে সৌদি ভিসা সার্ভিস সেন্টার পরিচালনা করছে। সেন্টারগুলো ভিএফএস গ্লোবালের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বিশ্বের বৃহত্তম আউটসোর্সিং এবং প্রযুক্তি পরিষেবা বিশেষজ্ঞ হিসেবে ভিএফএস গ্লোবাল ১৪৫টি দেশে ৬৭টি সরকারি ক্লায়েন্টকে সেবা দিয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে ভিসা ও ট্রাভেল সল্যুশনসের সৌদি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহাদ সুলাইমান আল আমাউদ ঢাকায় সৌদি ভিসা সার্ভিস সেন্টার চালু করার ক্ষেত্রে সহায়তা ও নির্দেশনার জন্য বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এবং সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকার ভিসা সেন্টারটি সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী সৌদি আরবের পর্যটন ও ব্যবসাকে আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।
ঢাকায় সৌদি ভিসা সার্ভিস সেন্টার চালু ভিশন ২০৩০ এর লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সৌদির ভিসা পাওয়া সহজ করার মাধ্যমে সেন্টারটি পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে সহায়তা করবে। একইসঙ্গে সৌদি আরবের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের সুযোগ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতেও সহায়তা করবে।
সৌদির অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার জন্য দেশটির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে আল আমাউদ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং সবার জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তোলার আহ্বান জানান।