চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এর উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস-২০২৩ উদযাপন
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৬শে মার্চ, ২০২৩ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছেঃ-
২৬ মার্চ, ২০২৩ তারিখ সকাল ৯.০০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাননীয় চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, এনপিপি ,বিসিজিএমএস, এনডিসি, পিএসসি বন্দর রিপাবলিক ক্লাব প্রাঙ্গনস্থ শহীদ স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অভিবাধন গ্রহণ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় চবক এর সকল সদস্য, বিভগীয় প্রধানসহ সর্বস্থরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, অবসরপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা /কর্মচারী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বন্দর ভবন, ওয়ার্কশপ, আবাসিক ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব এবং বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ ও জলযানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে ২৫ মার্চ গণহত্যায় নিহতদের স্বরণে এবং ‘‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’’ বিষয়ে আলোচনা সভা, ডকুমেন্টারী প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় নেতৃত্বে স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার আন্দোলনে দেশের সর্বস্তরের জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং যার ফলশ্রুতিতে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে যার যার অবস্থান থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। বক্তব্য শেষে তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে রচনা, চিত্রাংকন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে চবক এর আওতাধীন সকল মসজিদ, এবাদতখানা, মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয় এবং বন্দর হাসপাতালে অভ্যন্তরীণ রোগীদের উন্নতমানের খাদ্য পরিবেশন করা হয়। এ দিনে বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত জাহাজের ক্যাপ্টেনদের শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ফ্রুট বাস্কেট ও ফুলের তোড়া প্রদান করা হয়।
এছাড়াও যোহরের নামাজের শেষে বন্দরের সকল মসজিদ ও মন্দিরে সোয়াত অপারেশনে নিহতদের স্মরণে দোয়া/প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। ২৫ মার্চ রাত ১২.০০ ঘটিকায় চবক এ অবস্থানরত সকল জাহাজে ০১(এক) মিনিট ভেঁপু বাজানো হয় এবং রাত ০৯.০০ টা থেকে ০৯-০১ মিঃ পর্যন্ত ০১ (এক) মিনিটের জন্য ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে বন্দর সংরক্ষিত এলাকার বাইরে ব্ল্যাক আউট করা হয়।
সংযুক্তিঃ ছবি ০১ (এক) কপি।