সৌদিআরবে আছির প্রদেশে আকাবাহ রাস্তায় ওমরাহ যাত্রীদের বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় বাসটি উল্টে আগুন ধরে ১২ বাংলাদেশী সহ ২২জন নিহত, আহত ২৫ জন। বাসে মোট ৪৭ জন ওমরাহ যাত্রী ছিলেন । নিহতদের মধ্যেই একজন মিসরি, একজন সুদানি, একজন ইয়ামেন এর নাগরিকের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে।
গতকাল সোমবার ২৭ মার্চ এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ কনস্যুলেট ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ।
নিহতদের মধ্যেই ১২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে, তারা হলেন, শহিদুল ইসলাম পিতাঃ মোঃ শরিয়ত উল্লাহ, সেনবাগ, নোয়াখালী, মামুন মিয়া পিতাঃ আব্দুল আওয়াল, মুরাদনগর, কুমিল্লা, মোহাম্মদ হেলাল, নোয়াখালী, সবুজ হোসাইন, লক্ষ্মীপুর, রাসেল মোল্লা, মুরাদনগর কুমিল্লা, মোঃ আসিফ, মহেশখালী কক্সবাজার, মোঃ ইমাম হোসাইন রনি পিতাঃ আব্দুল লতিফ, টঙ্গী, গাজীপুর, রুক মিয়া পিতাঃ কালু মিয়া, চাঁদপুর, আরো চারজনের খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না তারা হলেন, গিয়াস উদ্দিন কুমিল্লা দেবিদ্বার, শেফায়েত উল্লাহ মহেশখালী কক্সবাজার, নাজমুল হাসান কোতোয়ালি যশোর, রনি পিতা ইস্কান্দার যশোর।
দুর্ঘটনায় আহত বাংলাদেশী এক বন্ধু জানান, আছির প্রদেশ থেকে ওমরাহ পালনের জন্য ঐ গাড়িটি ৪৭জন যাত্রী নিয়ে মক্কা যাচ্ছিলেন, আবাহ মক্কা আকাবাহ সংযোগ সড়কে গাড়িটির ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এতে করে ঐ বাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যেই অনেকেই আগুনে পুড়ে যায়, আহত হয় অনেক যাত্রী।
খবর পেয়ে সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স ও রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং দুর্ঘটনাস্থলে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। হতাহত ব্যক্তিদের আছির প্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাস দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট টিম ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে প্রেরন করেন এবং আহত ও নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলে জানান কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক। তিনি আরও জানান, বাসটি তে অনেক যাত্রী আগুনে পুড়ে তাদের চেহারা বুঝা যাচ্ছে না, হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানিয়েছেন তাদের ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তাদের পরিচয়। আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের খবর রাখছে কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা।