চট্টগ্রামশীর্ষ নিউজ
ঈদে বাড়তি ভাড়া-ভোগান্তি জিম্মি যাত্রী সাধারণ ঘটনার জেরে সাংবাদিক হেনস্তা
স্টাফ রিপোর্টার : ঈদে ঘরমুখী মানুষের বাড়তি ভাড়া-ভোগান্তি নানা অনিয়মের জেরে যাত্রীরা হচ্ছে জর্জরিত ভুক্তভোগী অনেকেই। এ নতুন কিছু নয়,দৃশ্য-অদৃশ্য সিন্ডিকেটের হাতে যাত্রীরা জিম্মি অসহায় সাধারণ।ন্যায্য ভাড়ার চার্ট চেয়ে সাংবাদিক পরিচয়েও হেনস্তা।বাস্তবতা আরও চরম।চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানাধীন কদমতলী আলিফ এন্টারপ্রাইজ পরিবহন কাউন্টারে এই ঘটনা ঘটে।
গত ২১এপ্রিল রাতে সরেজমিনে ঘটনার বিষয় অনুসন্ধানে জানা যায় ঘটনাটি সত্য বলে প্রমাণিত হয়। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা নিজেই সববিস্তারে স্বীকার করেছে। তবে তাদের দায়ভার নিতে চাই না কেউই। সমিতি বলছে তারা তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।
২০এপ্রিল রাত সাড়ে দেড়টায় আলিফ এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের বাড়তি ভাড়া আদায় সংক্রান্ত টিকেট’কে কেন্দ্র করে কদমতলী আলিফ পরিবহন কাউন্টারের কাউন্টার মাস্টার সাগরসহ কিছু অসাধু চক্রের সিন্ডিকেট কুচক্রী মহলের যোগসাজেসে এ অঘটন ঘটনাটি ঘটেছে। সমিতি উল্টো অপরাধীর মুখোশ উন্মোচনে রহৎস্যজনক ভূমিকায় অবস্থান করে। অসাধু চক্রকে আড়াল করতে কায়দা কৌশলে নিজেদের দায়-দায়িত্ব অবহেলা গাফিলতি জেরে ঘটনা সাথে জড়িতদের গাড়ির মালিক ও কর্মচারী কেউই তাদের সমিতির অন্তর্ভুক্ত নয় বলে দাবি করে।
সপ্তাহখানেক আগে অগ্রীম টিকিটের মূল্য দেওয়া হয় ৯শত টাকা। সরকারি চার্টে রয়েছে চট্টগ্রাম থেকে ভৈরব দুরুত্ব ২৪৩কি.মি. ভাড়া হয় ৫২৮ টাকা। তাদের দেখানো চাটে ৭৩৫টাকা। কিন্তু ভুক্তভোগী দরাদরি করে অনেক ভাবে বুঝিয়ে ১০০টাকা কমে ৮০০টাকায় টিকিট কাটে। গাড়ি ছাড়ার আগে অন্যান্য যাত্রীরা বলাবলি করছে যে ৪শত টাকার টিকেট ৯শত টাকা নিয়েছে কিন্তু ঠিক টাইমে গাড়ি ছাড়ছে না।সাড়ে ১২টা বাজে,অতচ যাত্রীদের ১১.৩০ টায় টাইম দেওয়া হয়েছে।এখনো গাড়ি ছাড়ছেনা বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
তখন ভুক্তভোগী তার যাত্রীকে গাড়িতে তুলে দিয়ে কাউন্টারে বিষয়টি জানতে চাইলে সে অশুভনীয় অশালীন আচরণ শুরু করে। কাউন্টার মাস্টার সাগর ভাড়ার বিষয়ে জানায়,সে নির্ধারিত হারের চেয়ে ৫০টাকা কম ধরে ভাড়া কাটছে। তখন বিনয়ের সাথে তার কাছে ভাড়ার চার্ট দেখানোর জন্য অনুরোধ করলে। সে আরো অশুভনীয় খারাপ আচরণ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে সে বলে আমার কাছে কোন চ্যাটফাট নাই।আর আপনাকে কেন দেখাবো আপনি তো মেন্টেল তাই এসব কেন জানতে চান? আমাদের সমিতির অফিসে যান। কিন্তু তার কাছে সমিতির অফিস কোথায় ও কারো নাম্বার দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তখন সে আরো খারাপ ব্যবহার শুরু করে।
বিষয়টি রেকর্ড করার চেষ্টা করলে মারমূখী আচরণ সহ মোবাইল টানাটানি করে মোবাইলটি ভেঙে ফেলে।পরিস্থিতি আরো লোমর্ষক অবনতি হলে গায়ের জামাও পাশে পেছন দিক থেকে ছিঁড়ে যায়। যা তাদের ভিডিওতে ধারণকৃত।
তারা ভুক্তভোগীর মোবাইলটি জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়ার জন্য নেওয়ার জন্য দস্তা দস্তি টানাটানি শুরু করে। মোবাইল না ছাড়ার কারণেই উল্টো ভুক্তভোগীকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে অনৈতিক অশালীন ভাষা সম্ভোধনে ব্ল্যাকমেইলের উদ্দেশ্যে ভিডিও ধারণ করে।
সারেজমিনে উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনার নেতৃত্বে থাকা আলিফ এন্টারপ্রাইজ এর কাউন্টার মাস্টার সাগর বলে-ভিডিও ধারণের বিষয়টি স্বীকার করে। সত্য বলে দাবি করে। কিন্তু সুকৌশলে সে যারা ভিডিও করেছে তাদেরকে যাত্রী পরিচয়ে নিজেকে আড়াল করার অপব্যাখ্যা অপচেষ্টা করে। প্রশ্ন যাত্রীকে কেন আরেক যাত্রী অনিয়মে জড়িয়ে ভিডিও করবে? তার রহস্যজনক উত্তরই সে বুঝিয়ে দিল ভিডিও ধারন ঘটনা গুছিয়ে সুকৌশলে করেছে পরিকল্পিতভাবে ব্ল্যাকমেইল করার উদ্দেশ্যে।
যার হাতে মোবাইল দিয়ে ভিডিও করা হয়েছে সেও ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছে।ভিডিও দেখতে চাইলে মোবাইল এখন তার কাছে নেই। অনিয়ম ডাকতে ভুক্তভোগীকে অপমান ও ভয় দেখিয়ে ভিডিও করেছে যা তাদের সাজানো পাতানো ফাঁদে ফেলার নাটকের অংশ। অনিয়ম ফাঁসের জেরে,সত্য জানার কারনেই সুকৌশলে উল্টো ভুক্তভোগীকেই ভিডিও ধারণ করে ব্লেকমেইল এর সামিল।
অনুসন্ধানে সমিতি কর্তৃক নিয়ন্ত্রণসিন্ডিকেটে চলছে এসব অভিবাকহীন সক্রিয় সিন্ডিকেটের রহৎসজনক নানা অনিয়ম কর্মকান্ড। সুকৌশলে যাত্রীদের ভোগান্তি হয়রানী বাড়তি ভাড়া আদায়ের অগনিত নিয়মে সমিতির নাম ভাঙ্গিয়ে অনিয়মের কারসাজির কারিগরীতে ভুক্তভোগীরা পদেপদে হচ্ছে নাজেহাল।
ভুক্তভোগী অভিযোগকারীরাই যেন উল্টো অভিযুক্ত।
এ যেন গল্প সিনেমা নাটকেউই যেন হার মানায়।
বাস্তবেই যদি কারো ক্ষেত্রে এমনটা হয়। যে ভুক্তভোগী সেই
বুঝে বাস্তবতা হচ্ছে আসলে কেমন? নিয়মনীতির কোন বালাই নেই। ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সততা ও আইনের প্রয়োগ যেন কেবলই আলোছায়া ফাঁদে অসহায় সাধারণেরা।
আন্ত:জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হাসেম-রহৎস্যজনক উত্তরে বলেন,তারা কোন অনিয়মের সাথে জড়িত না অপরাধীরা সংগঠনের কেউই না। অপরাধীদের আড়াল করতে কৌশলগতভাবে বিভিন্ন রকমের অলৌকিক গল্প কোথায় যুক্তি দিয়েছে। ঘটনাস্থল প্রত্যক্ষদর্শী নির্বাহী সদস্য শহীদের সাথে সকালে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান-বিষয়টি সমিতির অবগত আছে এবং সকলেই জানে। এরপর থেকে রহস্যজনকভাবে আর বারবারে চেষ্টা করেও সারাদিন আর ফোন ধরেনি। রাতে সাক্ষাতে নিজেকে খুব ব্যস্ত ছিল বলে কথা বলতে পারেনি। আর করো নাম্বারও দিতে পারেনি বলে জানাই।
সমিতি অফিসে উপস্থিত ছিলেন সমিতির অন্যান্য কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা,সদস্যসহ কোতোয়ালি থানা বিট ইনচার্জ এস আই মোহাম্মদ আজিজ,এএসআই জালাল, এএসআই জিয়াউর রহমান। এছাড়াও জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর তদন্ত পর্যবেক্ষক টিমের সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীর স্ব-উপস্থিতি।
আর নয় অনিয়ম ভোগান্তি। পরিবহন সেবা হোক যাত্রী বন্ধব। বাড়তি ভাড়া আদায়ে যাত্রী হয়রানি হোক বন্ধ।যাত্রীভোগান্তি নিরসনে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন সুদৃষ্টি। যথাযথ পদক্ষেপে হোক দ্রুত সমাধান এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগী জনসাধারণ সহ সংশ্লিষ্ট মহল সকলের।