মুম্বাইকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে গুজরাট
পর পর দুই মাচে হার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) আহমেদাবাদে গুজরাট টাইটান্সের কাছে ৫৫ রানে হারল রোহিত শর্মার দল। ব্যাটে-বলে মুম্বাইকে টেক্কা দিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়ারা। এই দুই দলের দ্বৈরথ মানেই টানটান উত্তেজনা। কিন্তু এদিন ছিল পুরো একপেশে ম্যাচ।
প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান তোলে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানে থামে মুম্বাই। ব্যর্থ রোহিতদের ব্যাটিং অর্ডার। ক্যামেরুন গ্রিন এবং নেহাল ওয়াধহেরা ছাড়া কেউই রান পায়নি। অপরদিকে, ডেথ বোলিং নিয়েও ভাবতে হবে মুম্বাইকে। ইনিংসের ১৩ ওভার পর্যন্ত মন্থর গতিতেই ব্যাট করছিল গুজরাট। ম্যাচ রোহিতদের হাতে ছিল। কিন্তু শেষ ৬-৭ ওভারে মুম্বাইয়ের বোলিং তছনছ করে দেন ডেভিড মিলার এবং অভিনব মনোহর। এই জুটির দাপটেই বড় রান সংগ্রহ করে গুজরাট। এ নিয়ে ৭ ম্যাচ ৫ জয়ে টেবিলের দুইয়ে গুজরাট। ৭ ম্যাচে ৪ হারে টেবিলের সাতে মুম্বাই।
টসে জিতে গুজরাটকে ব্যাট করতে পাঠান রোহিত শর্মা। শুরুতেই ফেরেন ছন্দে থাকা ঋদ্ধিমান সাহা (৪)। রান পাননি হার্দিক পাণ্ডিয়াও। ১৩ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ওপেনিং অর্ডার ব্যর্থ। কিন্তু ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একপ্রান্তে উইকেট কামড়ে পড়ে থাকেন শুভমন গিল। আরও একটি অর্ধশতরান করেন। ১টি ছয়, ৭টি চারের সাহায্যে ৩৪ বলে ৫৬ করে আউট হন। ১২.২ ওভারে ১০১ রানে ৪ উইকেট হারায় গুজরাট। এই জায়গা থেকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করার কথা কেউ ভাবতে পারেনি। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে পঞ্চম উইকেটে ৭১ রান যোগ করেন ডেভিড মিলার-অভিনব মনোহর জুটি। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
পরপর দুই ম্যাচে শেষ পাঁচ ওভারে ৯০ রানের বেশি হজম করল মুম্বাই। ২২ বলে ৪৬ করেন মিলার। অন্য প্রান্তে ২১ বলে ৪২ করেন অভিনব। শেষদিকে ক্যামিওর ভূমিকায় রাহুল তেওয়াটিয়া। ৫ বলে গুরুত্বপূর্ণ ২০ রান যোগ করেন। একটা সময় পর্যন্ত ম্যাচ মুম্বাইয়ের আওতায় ছিল। কিন্তু শেষ ছয় ওভারে অত্যধিক রান দিয়ে ফেলে দলটির বোলাররা। ২ ওভার বল করে ৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া অর্জুন টেন্ডুলকারকে আর বলই দেননি রোহিত।
রান তাড়া করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে মুম্বাইয়ের ব্যাটিং। রোহিতের উইকেটে পতন থেকে শুরু। দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় মুম্বাই। ২ রানে ফেরেন রোহিত। সুবিধা করতে পারেননি ঈশান কিষাণও। ১৩ রানে আউট হন মুম্বাইয়ের আরেক ওপেনার। ক্যামেরুন গ্রিন (৩৩), সূর্যকুমার যাদব (২৩) কিছুটা চেষ্টা করে। কিন্তু উইকেটে টিকে থাকতে পারেনি। শেষদিকে নেহাল ওয়াধহেরা নজর কাড়েন। ৩টি ছয় এবং ৩টি চারের সাহায্যে ২১ বলে ৪০ রান করেন। কিন্তু এই জায়গা থেকে ম্যাচ জেতানো সম্ভব ছিল না। তিন উইকেট নেন নূর আহমেদ। জোড়া উইকেট নেন রশিদ খান এবং মোহিত শর্মা।