চট্টগ্রাম
সাব হেডিং-প্রশংসায় ভাসছে ইউএনও, সাংবাদিককে হুমকি কর্ণফুলীতে বিন হাবিবের ছোবল থেকে সরকারি রাস্তা উদ্ধার
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটায় বিন হাবিব বিডি লিমিটেড (এলপি গ্যাস ফ্যাক্টরি) কতৃক দখল করা রাস্তাটি এক ঘন্টায় দখলমুক্ত করেছেন কর্ণফপল উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে চরলক্ষ্যার মৌলভীবাজার এলাকায় সিরাজুল হক নামক রাস্তাটি টিন দিয়ে রাতারাতি দখলে করে নিয়েছিলেন বিন হাবিব নামক এলপি গ্যাস কোম্পানী।
স্থানীয়দের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর তাৎক্ষণিক নির্দেশ পেয়ে রাস্তাটি দখলমুক্ত করতে। অন্যতায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
লিখিত অভিযোগকারীরা ছিলেন- চরলক্ষ্যা ও ইছানগর এলাকার মো. মহিউদ্দিন, মো. রহিম, জব্বার, আরিফ সুমন, আবছার, একরাম, মো. জুবায়ের, আবদুস সালাম, আজহার, আকিব, আবদুল কাদের, জহুর আহমদ, সবুর ও করিম।
এরপূর্বে রাস্তাটি রাতারাতি জোরপূর্বক বিন হাবিব দখলে নেওয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন সোশ্যাল মিডিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। যা চরপাথরঘাটার ফেসবুক জুড়ে ভাইরাল হয়।
এলাকাবাসীরা জানান, ঈদের দিন রাতে বিন হাবিব বিডি লিমিটেড সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তাটি (সিরাজুল হক) টিন দিয়ে ঘেরাও করে দখলে নেন। পরে লোকজন বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে প্রশাসন এসে রাস্তাটি দখলমুক্ত করেন। এতে এলাকাবাসীরা ইউএনও মো. মামুনুর রশীদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এরমধ্যে তথ্য পাওয়া যায়, বিন হাবিব বিডি লিমিটেডের পক্ষে অবস্থান নিয়ে উপজেলা প্রশাসনে তদবির করতে যান উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রুমে প্রবেশ করে কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে নাম উল্লেখ করে এক সাংবাদিককে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। পাশাপাশি তিনি নির্বাহী কর্মকর্তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে তদবির করতেও শোনা যায়। যা ওই সময় ইউএনও’র রুমে বসা একাধিক সাংবাদিকদের ফোনে কথাবার্তা গুলো রেকর্ড হয়েছে।
তদবিরকারী নুর মোহাম্মদ বিন হাবিব কোম্পানির কোন দায়িত্বে রয়েছেন কিনা সেটা জানতে বিন হাবিব লিমিটেড বিডির ডিএমডি মোহাম্মদ ওমর ফারুক কে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
তবে এ ব্যাপারে ইউএনও মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, রাস্তা দখলের বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে তাৎক্ষণিক বিন হাবিবকে নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারি রাস্তা থেকে টিনের দেয়াল সরিয়ে নেওয়ার। জানানো হয়, না হয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে শুনেছি সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা তাঁরা দখলমুক্ত করেছেন। আর সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি তিনি আমার রুমেই দিয়েছেন।