ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বৈশাখ বরণে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান
বহুজাতিক সমাজে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশের এক অনন্য আয়োজন ছিলো শনিবার (৬ মে) ওয়াশিংটন ডিসিতে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি এবং ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত সকল দেশের কূটনীতিক-কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং তাদের পরিবারের সদস্যগণের ঢল নেমেছিল বৈশাখ বরণের বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে।
উল্লেখ্য, ‘পাসপোর্ট ডিসি অ্যাম্বাসী ট্যুর-২০২৩’ কর্মসূচিতে ১০ হাজারের অধিক কূটনীতিক ও স্থানীয় অধিবাসী অংশ নেন এবং সকলেই প্রতিটি দূতাবাস পরিভ্রমণ করেন। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে সকল দেশের কূটনীতিকদের বর্ণাঢ্য এক মিছিল পরিলক্ষিত হয়। আর সেই আমেজেই বাংলা নতুন বছরকে বরণের আয়োজনটি বিশেষ এক ব্যপ্তি লাভ করে সকল ভাষা-বর্ণ-অঞ্চলের মানুষের উচ্ছ্বল উপস্থিতিতে।
বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন থেকে ঐতিহ্যবাহী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বের করা হয় । শোভাযাত্রাটি দূতাবাস সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার দূতাবাস প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা দেশীয় বাদ্যযন্ত্র, ঢোল, মুখোশ এবং বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সরঞ্জাম নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান স্বাগত বক্তব্যে দেশবাসী, প্রবাসী বাংলাদেশি ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে এ উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বর্ণাঢ্য ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং জাতির সবচেয়ে সার্বজনীন উৎসব।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে মানবতার একটি বিমূর্ত ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি জাতির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
তির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, পহেলা বৈশাখের চেতনা সেই মহান নেতার দর্শন, বিশ্বাস ও আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে যিনি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা এবং ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির জনকের বিচক্ষণ ও সময়োপযোগী নীতি ও নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তর করে বিশ্বে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট এবং ভিসা উইং) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিল্টন এবং এর সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল-৩) শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।