গ্যাসের দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন
চট্টগা্রম প্রতিনিধি:
গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করার দাবিতে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্টিবিউশন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। সোমবার (১৫ মে) দুপুরে ষোলশহরস্থ কর্ণফুলী গ্যাস কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিজেদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে প্লেকাড নিয়ে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সাজ্জাদ হোসেন জাফর, সাজ্জাদ কান, মো. ফোরকান, জিয়া উদ্দিন আহমেদ, মো. ফিরোজ, মিটুন বৈষ্ণব, শরিফুল ইসলাম জুয়েল, মো. রুবেল।
এ সময় বক্তারা বলেন,গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড-কেজিডিসিএ হঠাৎ করে জানিয়েছে, ছয় থেকে সাত দিন সময় লাগবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে। তারা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ছয়-সাতদিন সময় লাগতে পারে। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার এটা কোন যৌক্তিক কারণ হতে পারে না।
এসময় সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ বলেন, চট্টগ্রামকে অর্থনীতির স্বর্ণদ্বার বলা হলেও জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাসের অংশীদারিত্ব কম। ফলে মহেশখালীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকার অজুহাতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গ্যাস সংকটে নিদারুণ কষ্টে নগরবাসী দিনাতিপাত করছে। শনি ও রবিবার চুলা জ্বালাতে পারেনি নগরবাসী।
সৌরভ প্রিয় পাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার অজুহাতে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হলো। বাসাবাড়িতে গ্যাসের চুলা জ্বলছে না। তাই দোকান থেকে খাবার কিনে খেয়েছেন অনেকেই, অনেকে উপবাসে থেকেছেন। সিএনজি সংকটের কারণে চট্টগ্রামে কোনো ফিলিং স্টেশনে গ্যাস বিক্রি হচ্ছে না। রাস্তায় গ্যাসচালিত যানবাহনের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। সরকার চট্টগ্রামের সাথে সবসময় বিমাতাসুলভ আচরণ করে। বর্তমান সময়ে চট্টগ্রামে গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যার পাশাপাশি ওয়াসার পানির লবণাক্ততা। সবকিছুতে ভুক্তভোগী চট্টগ্রামবাসী। আমরা চট্টগ্রামবাসী এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই। আমদানি নয় দেশে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার চাই।
সেলিম উদ্দিন রাসেল বলেন, আমরা চট্টগ্রামবাসী আজ দুদিন ধরে ঘরে চুলা জ্বালাতে পারছে না। গ্যাসের বোতলের দামও দ্বিগুণ করা হয়েছে। স্টোভের দাম বাড়ানো হয়েছে। চট্টগ্রামবাসী পেটের ক্ষিধে নিয়ে সীমাহীন দুঃখের সাথে দিনযাপন করছে। আমরা এসব থেকে মুক্তি চাই।