চট্টগ্রামে সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্নক আহত সার্জিস্কোপ এর সিনিয়র সেবিকা ইনা রানী শীল
গত ১৩ই মে শনিবার ২০২৩ ইংরেজী তারিখে চট্টগ্রাম খুলশী থানা পাড় হয়ে একটু সামনে সকাল আনুমানিক ৮.৩০ মিনিটে বাসা থেকে বের হয়ে প্রতিদিনের মতো কাজে যাচ্ছিলেন ইনা রানী শীল(৩৮) হঠাৎ পেছন থেকে মালবাহী ট্রেইলর সজোরে ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দেয় রাস্তায় ঘটনাস্থলে মাথা এবং শরীরে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন দেখে খুলশী থানার কর্মরত পুলিশ সদস্যরা মানবিকতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করলে ১ দিন পর ইনা রানী শীলের জ্ঞান ফেরলেও সে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে প্রতিটি মুর্হুত যন্ত্রনায় আর্তনাত করছে দিন-রাত। দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে মাংস উঠে বড় বড় গর্তে পরিনত হয়ে ক্ষত-বিক্ষত তার সর্বঅঙ্গ ভেঙ্গে গেছে কোমড়ের ও দু’পায়ের বিভিন্ন অংশের হাঁড়, দেহের এমন কোন জায়গা বাকী নেই যেখানে আঘাত পায়নি ।ইনা রানী শীল বিগত বহু বছর যাবৎ চট্টগ্রাম ইউ,এস,টিসি সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সিনিয়র সেবিকা হিসাবে কর্মরত ছিলেন বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম সার্জিস্কোপ ইউনিট-২ তে সিনিয়র সেবিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। বাছরের পর বছর মানুষের সেবা দিয়ে সুস্থ করায় ছিল তার প্রধান লক্ষ্য কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আজ সে নিজে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের ২৬ নাম্বার বেডে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে দিন-রাত । এমন বিভীষিকা হয়তো তার জীবনে আসবে কোনদিনও ভাবতে পারেনি সে , মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে শত শত মানুষের প্রান। চালকের অর্সর্তকতাই এর জন্যে দায়ী। গাড়ি ও চালকের ভূয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি এরিয়ে চলছে বছরের পর বছর হাজারও যানবাহন। অসহায় পথচারীরা প্রান হারাচ্ছে নির্বিকারে।
ইনা রানী শীলের সু-চিকিৎস্যার ব্যয়ভার বহন করার জন্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টিকামনা করছি আমরা চট্টগ্রামবাসী। বাংলাদেশের প্রতিটি সংগঠন এবং স্বাস্থ্য সেবা থেকে শুরু করে যতগুলো মানবাধিকার সংস্থা আছে প্রতিটি সংস্থা মানবতার প্রেক্ষাপট থেকে এগিয়ে আসা জরুরী বলে মনে করি। কারন তিনি একজন সেবিকা, মানব সেবাই ছিল তারজীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য । দুই সন্তানের মা ইনারানী অত্যন্ত সাধারন জীবন-যাপনে অভ্যস্থ, জীবনের বেশীর ভাগ সময়ই এই পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি।