বোমা নিষ্ক্রিয়কারী রোবট পাচ্ছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী রোবট পাচ্ছে। মার্কিন দূতাবাসের সন্ত্রাসবিরোধী সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় এ দুটি রোবট রোববার (২১ মে) হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সিএমপি কমিশনারের কাছে রোবট দুটি হস্তান্তরের কথা রয়েছে। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ সন্ত্রাসবিরোধী উপদেষ্টা রিকি বি চেম্বার্স সম্পূর্ণ সেটআপসহ দুটি অ্যাক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোসাল (ইওডি) রোবট হস্তান্তর করবেন।
সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার (এডিসি) আসিফ মহিউদ্দিন জানান, রোবট চালানোর জন্য বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞদের ইওডি প্রযুক্তিবিদদের দ্বারা দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
জানা গেছে, এই রোবটগুলো বোমা নিষ্ক্রিয় বিশেষজ্ঞদের দূরবর্তী উপস্থিতি কাজ করে। ডিভাইস পরীক্ষা করে বোমাকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। শুধু বোমা নয়, ল্যান্ডমাইন থেকে শুরু করে অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ পর্যন্ত বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে এই রোবট।
২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিএমপিতে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়। একজন উপ পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনারকে এ ইউনিটের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সন্ত্রাসবাদ, সন্ত্রাবাদে অর্থায়ন, সন্ত্রাসবাদে সহায়ক অপরাধগুলো প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা এ ইউনিটের মূল লক্ষ্য বলে জানান কর্মকর্তারা।
কাউন্টার টেররিজমের বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, ষোলশহর সহ নানা খানে সন্ত্রাসীদের রাখা বোমা উদ্ধার ও তা নিস্ক্রিয়করণ করে এসেছে মৃত্যু ঝুঁকিকে সাথে নিয়েই। ৭০/৮০ কেজি ওজনের বোম স্যুট পড়েই মানসিক চাপ নিয়ে কাজ করতেন বোমা এক্সপার্টরা। তাতেও মৃত্যু ঝুঁকি থাকতো ৯০ ভাগের উপরে। এবার বিশ্বের অন্যদেশের মত এখানেও যুক্ত হচ্ছে। আমেরিকান দূতাবাস থেকে দুইটি ক্যালিবার সিরিজের রোবট পাচ্ছেন সিএমপির কাউন্টার টেররিজম।
বাইরের দেশ গুলোতে গত ৩০ বছর রোবট দিয়েই সাফল্যের সহিত বোমা উদ্ধার ও নিস্ক্রিয়করণ করা হচ্ছে। দূর থেকেই নিরাপত্তা বজায় রেখেই এবার বোমা নিস্ক্রিয়করণ সম্ভব হবে চট্টগ্রামে।