সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া গমনের লটারি সার্কুলার শীঘ্রই
অসীম বিকাশ বড়ুয়া,দক্ষিণ কোরিয়া থেকে
সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে ইপিএস (এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম) কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে কোরীয় ভাষা অপারদর্শীদের জন্য ইপিএস এর আওতায় বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়াতে কর্মী নিয়োগের লটারি সার্কুলার ঘোষণা করা হবে মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড(বোয়েসেল)।
গত ৬ মে বোয়েসেলের ওয়েবসাইট ও হোম পেজে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
ইপিএস এর আওতায় দক্ষিণ কোরিয়া গমনের লক্ষ্যে কোরীয় ভাষা পরীক্ষা (লটারি) সংক্রান্ত সার্কুলার আসতেছে।
আবেদনের যোগ্যতা:
১। শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি/সমমান;
২। পাসপোর্ট-এর মেয়াদ হালনাগাদ থাকা সাপেক্ষে;
৩। এসএসসি/সমমান সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে পাসপোর্ট এর মিল থাকা সাপেক্ষে;
৪। বয়স সীমা ১৮ থেকে ৩৯ বছর;
৫। E-9 ভিসায় Dirty Difficult Dangerous (3D) কাজ করতে সমস্যা নেই;
৬। যার কালার ব্লাইন্ডনেস বা রঙ বোঝার সক্ষমতার সমস্যা নেই;
৭। কোরীয় ভাষা পড়া, লেখা ও বোঝার পারদর্শিতা থাকতে হবে;
৮। মাদকাসক্ত/সিফিলিস শনাক্ত ব্যক্তিগণ অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন;
৯। ফৌজদারি অপরাধে জেল বা অন্য কোনো শাস্তি হয়নি;
১০। যারা দক্ষিণ কোরিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থান করেনি ;
১১। যার উপর বিদেশ যাত্রায় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই বা যেতে কোন সমস্যা নেই এবং
১২। যারা ই-৯ বা ই-১০ ভিসায় কোরিয়াতে ৫ বছর বেশি থাকেনি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় শিল্প খাতে লটারির মাধ্যমে প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশী কর্মী সরকারিভাবে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
গত বছরের শেষ নাগাদ প্রায় ৫ হাজার দুইশত বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় আসে যা ইতিমধ্যে অন্যান্য বছরের তুলনায় রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এবছর প্রায় ৭৫০০ জন বাংলাদেশী দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন,ঢাকায় নিযুক্ত কোরীয় রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউন। এছাড়াও অতিরিক্ত আরো ৫০০০ কর্মী সহ কৃষি ভিসায় মৌসুমী শ্রমিক পাঠানোর সুযোগতো থাকছেই। বর্তমানে নতুন করে বাংলাদেশ থেকে বেসরকারিভাবে ই-সেভেন ভিসায় প্রচুর বাংলাদেশি যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াতে। এর ফলে নতুন করে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশীদের জন্য।তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে আরও বিপুল পরিমাণ কর্মী নিতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া।
কর্মনিষ্ঠা,সততা ও নিয়মানুবর্তিতার কারণে বাংলাদেশের কর্মীরা এখন দক্ষিণ কোরিয়াতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তাইতো দেশটিতে বাংলাদেশের কর্মীদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ২০০৭ সালে কর্মী নিয়োগের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় ২০০৮ সাল থেকে দেশটিতে দক্ষ কর্মী পাঠানো শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মে মাসের শেষ সপ্তাহে লটারি সার্কুলার হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
লটারি সার্কুলার ও যাবতীয় তথ্যে যেখানে প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত সেই ওয়েবসাইট লিংক:
http://eps.boesl.gov.bd
এছাড়া ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রস্তুতি সহ বিষয়টি বহুল প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন,বোয়েসেল কর্তৃপক্ষ।
যাবতীয় তথ্য বোয়েসেলের লিঙ্কে গিয়ে হোমপেজে ক্লিক করলে পাবেন নতুবা ফেসবুক পেজেও পাওয়া যাবে। লটারি সার্কুলার হওয়ার পর,যাদের কম্পিউটার নেই কিন্তু নিজে নিজে মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন করতে চান তারাও নির্ভুলভাবে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও যেকোন কম্পিউটারের দোকান থেকে নির্ভুল ভাবে আবেদন করা যাবে।