যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
১৩ বছর আত্মগোপনে থাকা অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন দÐ প্রাপ্ত আসামী মজনু মিয়াকে র্যাব-১৩ ও র্যাব-১ এর যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে। সোমবার দুপুরে র্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়।
র্যাব জানায় ধৃত আসামী লালমনিরহাট চিনিয়াপাড়া এলাকার মৃত সাদুরা মামুদের পুত্র মোঃ মজনু মিয়ার (৫৪ )বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দন্ডিত করে আদালতের বিচারক। ১৩ বছর আগে এই মামলার অপর আসামী মোঃ সাইদুর রহমান লালমনিরহাট সদরের এক কিশোরীকে (১৫) বিভিন্ন সময় প্রেম ভালোবাসার প্রস্তাব দিত। কিন্তু কিশোরী তার প্রস্তাবে রাজি না হলে আসামী সাইদুর রহমান তার বন্ধু ধৃত আসামী মোঃ মজনু মিয়াকে নিয়ে ওই কিশোরীকে উঠিয়ে নিয়ে তার নিকট নিয়ে আসতে বলে। আসামী সাইদুরের কথামত মজনু মিয়া কিশোরিকে প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে ঠাকুরগাঁও কোন এক জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে ধৃত আসামী মজনু মিয়া, সাইদুরসহ আরো একজন কিশোরীকে আটক রেখে গণধর্ষণ করে। কিশোরীর পরিবার বিষয়টি জানার পর থানায় মামলা করলে থানা পুলিশ আসামীসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরে আসামী মজনু মিয়া জামিনে মুক্তি পেয়ে গত ১৩ বছর যাবৎ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিচয়ে আত্মগোপন করে। এভাবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ মজনু মিয়া দীর্ঘ ১৩ বছর আত্মগোপনে থাকে। ৪ জুন র্যাব-১৩ এবং র্যাব-১ এর সদস্যরা যৌথভাবে ঢাকার তুরাগ থানার ধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সামনে হতে অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৩ বছর যাবৎ পলাতক আসামী মোঃ মজনু মিয়াকে গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী স্বীকার করে যে, ভিকটিমকে অপহরণ ও গণ-ধর্ষণ করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামীকে লালমনিরহাট জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।