বিদেশি এয়ারলাইন্সের জন্য ডলার ছাড় করার নির্দেশ
এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই চলছে ডলার সংকট। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও এই সংকট দেখা দিয়েছে। আর এই ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় আয় নিতে পারছে না বিভিন্ন বিদেশি এয়ারলাইন্স। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্রুত ওইসব বিদেশি এয়ারলাইন্স এজেন্সির অনুকূলে ডলার ছাড় করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এছাড়া বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য আরও একটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। ওইসব এয়ারলাইন্স যেন আগামীতে বাংলাদেশ থেকে টাকায় তেল কিনতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে তেল কিনতে চাইলে ডলারে পরিশোধ করতে হয়। যদিও বিদেশি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে তেল কেনে খুব কম।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মো. আবুল বশর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সংবাদপত্রে বলা হয়েছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর পরিশোধের জন্য ২১ কোটি ৪০ লাখ ডলার বকেয়া আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তথ্য নিয়ে দেখেছে, বকেয়ার পরিমাণ মূলত ১৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এ বকেয়া যেন দ্রুত পরিশোধ করা হয় ব্যাংকগুলোকে সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত এয়ারলাইন্স খাতে ৪০ কোটি ২২ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ডলার বাজারে চাপ রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন খাতের পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে। এয়ারলাইন্সের পরিশোধে সংকট হলে তো ব্যাংকগুলো আসত। তারা কিন্তু আসেনি।
ব্যাংকগুলো এলে সহায়তা করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব ব্যাংকের বকেয়া আছে তাদের সক্ষমতা আছে। যেমন– স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ৮ কোটি ৩৬ লাখ ডলার বকেয়া আছে। যেকোনও সময় তারা চাইলে পরিশোধ করে দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা (আইএটিএ) গত রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডলার সংকটে বাংলাদেশ থেকে আয়ের অর্থ দেশে নিতে পারছে না বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। বাংলাদেশে এসব কোম্পানির ২১ কোটি ৪০ লাখ ডলার আটকে আছে।