চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম–১০ আসন থেকে পরপর তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে এই আসনে আগামী ৩০ জুলাই উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ৮ জুন দুপুরে চট্টগ্রাম–১০ আসনের (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ডা. আফছারুল আমিনের মৃত্যুর পর এই আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই নানান ভাবে চেষ্টা–তদ্বির শুরু করেছেন দলীয় মনোনয়নের জন্য। তবে শেষমেশ ডা. আফছারুল আমীনের উত্তরসূরি কে হচ্ছেন তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত।
গত ২ জুন এই আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমিনের মৃত্যুর পর রাজনীতির অন্দরমহলে থেকে অনেকেই এই আসনের মনোনয়নের জন্য নানান চেষ্টা–তদ্বির শুরু করলেও গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পরপরই প্রার্থীদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জুলাই এই আসনে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই হিসেবে এই আসনে যিনি মনোনয়ন পেয়ে আগামী ৩০ জুলাই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন তিনি হবেন ‘চার মাসের সংসদ সদস্য’।
সংসদ অধিবেশন পাবেন কিনা সন্দেহ আছেন। তবে তিনি সেই সৌভাগ্যবান হবেন, চারমাস পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আসনের উপ নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সংখ্যা অনেক বেশি।
অনেকেই প্রকাশ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা জানালেও অনেকেই নীরবে কেন্দ্রে চেষ্টা–তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই আসনের প্রার্থীদের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে। দলীয় মনোনয়ন ফরম নেয়ার কথা জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা।
সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম নানাভাবে শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে আছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন, নগর আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম ঘনিষ্ট সহচর এম এ আজিজের সন্তান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি ও বর্তমান কমিটির উপদেষ্টা একেএম বেলায়েত হোসেন, সাবেক মেয়র মনজুর আলম, ডা. আফাছারুল আমিনের ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুল আমিন, নগর যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন বাচ্চু, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকা, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক ও সাবেক মেয়র মনজুর আলমের ছেলে তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম–১০ আসনের (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন।