প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৫ ভাগে উন্নীত হয়েছে।
রবিবার (১১ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি আরও বলেন, বিশ্ব পরিবর্তনশীল, সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। নিরক্ষতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, তারপর ক্ষমতায় আসার পর উদ্যোগ নেয়া হয়। আজকে কিন্তু আমরা সেই কাজ করতে সফল হয়েছি; আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারণ আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে আমরা যদি তাল মিলিয়ে চলতে না পারি, তাহলে চলব কীভাবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছিলাম বলেই মহামারি করোনা মোকাবিলা করা সহজ হয়েছে। এমন কি স্কুল-কলেজ যখন সব বন্ধ রাখা হয়, তখন অনলাইনে বিশ্ব মহামারি করোনার মধ্যে ‘আমার ঘর আমার স্কুল’ এ নীতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হয়। আজকে আমাদের ছেলেমেয়েরা মেধা বিকাশের সুযোগ পেয়েছে। তাদের মধ্যে উদ্ভাবনী যে শক্তিটা আছে সেটা প্রকাশিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আজ আশাবাদী এদেশকে আর কেউ পেছনে টেনে নিয়ে যেতে পারবে না। আবার অন্ধকার যুগে নিয়ে যেতে পারবে না। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই এদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে, মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফির জি টু পি পদ্ধতিতে উপবৃত্তির টাকা দেয়া হলো৷ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৫২ লাখ ১৪ হাজার ৬৫০ শিক্ষার্থীকে ১ হাজার ১২০ কোটি ৪৫ লাখ ৯ হাজার ৫৬০ টাকা অনলাইন মাধ্যমে অভিভাবকদের অ্যাকাউন্টে দেয়া হয়েছে৷ স্নাতক পর্যায়ে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮৯ শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়েছে ৭৯ কোটি ৪৭ লাখ ৬১ হাজার ৫৬০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩ জাতীয় পর্যায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সেরা ১৫ শিক্ষার্থীর হাতে পদক তুলে দেয়া হয়৷ এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেয়েছেন মোট ২২ কৃতি শিক্ষার্থী।